ইয়াসিন আরাফাত : ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম কর্তৃক প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রতিবেদন অনুযায়ী, চীন-সহ বিভিন্ন দেশে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার মূল উৎসই হচ্ছে বিষধর চীনা ক্রেইট সাপ এবং কোবরা সাপ। করোনা ভাইরাস বাতাসে মিশে প্রাথমিকভাবে স্তন্যপায়ী প্রাণী এবং পাখির শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণ করে। এর ফলে প্রাথমিকভাবে জ্বর, সর্দি, শ্বাসকষ্ট উপসর্গ হিসেবে দেখা দেয়। এর আগে ২০১৯ সালে চীনের হুয়ান শহরে প্রথম করোনা ভাইরাসের বিষয়টি সামনে আসে। যা খুবই দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। সিএনএন
তবে এবারের পরিস্থিতি ভয়াবহ। আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ বাড়িয়ে চীনের বাইরে ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে করোনা ভাইরাস। এই পরিস্থিতিতে জরুরি বৈঠকও করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা'র (WHO) বিশেষ ক্ষমতাপ্রাপ্ত বিশেষজ্ঞদের একটি দল। চীনা ভাইরাসের বিস্তারের জেরে বিশ্বে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জরুরি অবস্থা জারির মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কিনা, সে বিষয়েও শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। উল্লেখ্য, গত দশকে মাত্র পাঁচবার বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা জরুরি মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিলো।
এর আগে চীনের বাইরে থাইল্যান্ড ও জাপানে তিন জনের সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়ে ছিলো। এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে। এই পরিস্থিতিতে সামনে এসেছে আশ্চর্যজনক এক তথ্য। চিনের দুই প্রজাতির সাপ থেকেই করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে চিনা ভাইরাসের বিস্তার যে উদ্বেগজনক, তা স্বীকার করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাসচিব তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসাস জানিয়েছেন, বিষয়টি কে আমরা খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। সমস্ত তথ্যপ্রমাণ যাচাই করে পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। কীভাবে এই করোনা ভাইরাস মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ল, WHO চিনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তার তদন্ত করে দেখছে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। সম্পাদনা : মাজহারুল ইসলাম