শিরোনাম
◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ চলচ্চিত্র ও টিভি খাতে ভারতের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করলেই ব্যবস্থা: ইসি আলমগীর  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো

প্রকাশিত : ২৪ জানুয়ারী, ২০২০, ০৭:০৫ সকাল
আপডেট : ২৪ জানুয়ারী, ২০২০, ০৭:০৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আমাদের কালচারের শক্তিটা অন্তর্গত, প্রবাহমান; তা উল্টে ফেলা এতো সহজ নয়, আত্মবিশ্বাস রাখেন, ভয়ের কিছু নেই

 

সাইফুদ্দিন আহমেদ নান্নু : ইউটিউব থেকে ডলার আসে, আয় হয়। রান্না রেসিপি থেকে আসে, হিরো আলমদের নাটক থেকে আসে, ওয়াজ মাহফিল থেকেও আসে। যেটা বেশি দর্শক দেখে সেটার ইনকাম ততো বেশি। মাসে লাখ লাখ টাকাও কেউ কেউ পায়। সবচেয়ে বেশি আয় করেন যারা ওয়াজ করেন তারা, আবার তাদের ওয়াজ রেকর্ড করে নেটে ছেড়ে দেন তারাও এই আয় পকেটে পুরেন। ইউটিউব তাদের কিছু শর্ত পূরণ করলে ডলার দেয় এটি একসময় আমি বিশ্বাস করতাম না। কিন্তু আমার ছোট ভাই তুল্য বন্ধু তাজুল ওল্ডমডেলের প্রিন্টার মেরামতের সফটওয়্যার বানিয়ে, টেকনিক, ট্রিকসের ভিডিও নিজস্ব ইউটিউ একাউন্ট বা আইডিতে ছেড়ে, সরিষাক্ষেত থেকে মধু আহরণের ভিডিও অনলাইনে ছেড়ে যেদিন ১০০ ডলারের মতো পেয়ে খুশিতে বিরিয়ানি খাইয়ে আমাকে সব বোঝালে, ডলার পাওয়ার ডকুমেন্টগুলো দেখালো। তার আইটেমের দর্শক এবং দেখার মোট সময় কম বলে আয়ও কম।

এ নিয়ে এতো কথা বললাম কেন সেটা বলি। গত এক বছর যাবৎ নানা মানুষের ওয়াজের বয়ানে ইউটিউব সয়লাব হয়ে গেছে বলে আমরা অনেকেই আতঙ্কিত, হায় হায় কী শুরু হলো। হঠাৎ করে মূর্খ, উগ্র, অর্বাচীন কিংবা শিক্ষিত ওয়াজেনরা দেশ ছেয়ে ফেললো কী করে। বলি কি এমন ওয়াজমাহফিল শত বছর ধরেই চলছে। এসব রেডিও-টিভিতে আসতো না বলে আমরা জানতাম না। এখন মোবাইল, ইন্টানেট, ফেসবুক, ইউটিউবের কল্যাণে জানছি। আর ইউটিউবে ওয়াজ মাহফিলের এই যে জোয়ার তার নেপথ্যে কিন্তু ওই যে বললাম ইউটিউব থেকে আয়, ডলার। কোনো ফাঁকি নেই পেমেন্টে। ফলে ওয়াজ, রান্নার রেসিপি থেকে শুরু করে হিরো আলমের ফটকা নাটকেরও বিশাল বাজার, বিশাল দর্শক অনলাইনে সৃষ্টি হয়েছে। হঠাৎ করে কিছুরই সুনামি বয়ে যায়নি। প্রযুক্তির সুফল, কুফল, আর কিছু নয়। সবশেষে বলি ইউটিউবের ওয়াজ নিয়ে শঙ্কা-আতঙ্কের কিছু নেই। কারণ এ দেশে ওয়াজ মাহফিল শতবর্ষ ধরেই চলছে। এখন প্রযুক্তির কল্যাণে জানছি বলে মনে হচ্ছে ধর্মের গোঁড়ামিতে দেশে ডুবে গেলো। অতো ভয়ের কোনো কারণ নেই। এটাই বাংলাদেশ। যেখানে ওয়াজ মাহফিলে হাজার হাজার মানুষ হয়, আবার জেমসের কনসার্টেও হাজার হাজার মানুষ হাজির হয়, গানের সঙ্গে নাচে।

এখনো মেলায়, আসরে বিচারগান, জারিগান কবি গান শোনার জন্য দশ-বিশ মাইল দূর থেকে হাজারও মানুষ সমবেত হয়, গান শুনে কাঁদে। পহেলা বৈশাখে সেজেগুঁজে এমনকি হিজাব পরেও হাতে ফুল নিয়ে রাস্তায় নামে লাখো মানুষ। ভালোবাসা দিবসে শহর তো শহর, গ্রামের ছেলেমেয়েরাও নতুন সাজে সেজে বেড়াতে বের হয়। একটা হিসাব মাথায় রাখেন এ দেশে মোটামুটি জেনুইন ইলেকশনে ধর্মভিত্তিক দলগুলো কোনোকালে ৫ শতাংশের বেশি ভোট পায়নি। দেশের মানুষ সবই শোনে, বুঝে কিন্তু গোঁড়ামি আর ধর্মান্ধতাকে শেষ বিচারে পরিত্যাগ করে। অতএব,অহেতুক ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। আমাদের কালচারের শক্তিটা অন্তর্গত, প্রবহমান। এটাকে উল্টে ফেলা অতো সহজ নয়। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়