ফরহাদ আমিন : টেকনাফের জাদিমোড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মো. ইসমাইল বলেন, আইসিজে দেয়া রায় নিয়ে আমরা অনেক খুশি, এইটি মাত্র শুরু। মনে হচ্ছে এটি বিচারের প্রথম স্বাদ। রায় দ্রুত বাস্তবায়ন দেখতে চাই। কিন্তু প্রত্যাবাসনের বিষয়টি যদি সামনে আনা যেতো তাহলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন দ্রুত শুরু করা যেতো।
রোহিঙ্গাদের সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) সাধারণ সম্পাদক মাস্টার সৈয়দ উল্লাহ বলেন,ছয়টির দাবির মধ্যে চারটি আমাদের পক্ষে এসেছে। তবে সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে রোহিঙ্গা গণহত্যার বিরুদ্ধে অং সান সু চির যুক্তি খারিজ করা হয়েছে। এটি প্রমাণ করে সেখানে গণহত্যা হয়েছে। এজন্য রায়ের দিন সু চি সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। এই থেকে সুচির লজ্জা পাওয়া উচিত। তবে প্রত্যাবাসনের বিষয় নিয়ে যদি আলোচনা করলে তাহলে আরও ভাল হতো।
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে শূন্য রেখা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চেয়ারম্যান দিল মোহাম্মদ বলেন, আইসিজে রায়ে খুশি, এটি রোহিঙ্গা জনগোষ্টীর জন্য প্রথম জয়। কেননা যুগ যুগ ধরে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী নির্যাতনের স্বীকার হলেও কোনো বিচায় পায়নি। ফলে এ রায়ে যেন মনে হচ্ছে প্রথম বিচারের স্বাদ পেয়েছি।
কক্সবাজার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন বলেন,আইসিজের ঘোষিত রায়ের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ক্যাম্পে নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান
আপনার মতামত লিখুন :