ভারতীয় কারিগরের তৈরি উচ্চক্ষমতার অস্ত্র বিক্রি হচ্ছে চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া এলাকায়। অস্ত্র ও গুলি সরবরাহকারী দুইজন ব্যক্তির কথোপকথনে এমন তথ্য ওঠে এসেছে।
বুধবার সকাল থেকে অস্ত্র বেচা-কেনার একটি অডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ফোনালাপ ভাইরাল হওয়ার পর কারা এই নেটওয়ার্কে রয়েছে এবং কারা তাদের অর্থায়ন করছে, তাদের খুঁজে বের করতে কাজ শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নগরীর বাকলিয়া এলাকার অস্ত্র ব্যবসায়ী জাকির হোসেন ওরফে আতুরি জাকির এবং আবদুস সোবহানের মধ্যে এই কথোপকথন হয়েছে। অডিওটি প্রায় ৭ মিনিটের হলেও ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে ২ মিনিটের মতো প্রচার করা হয়েছে।
কথোপকথনের শুরুতেই দেড় লাখ টাকায় একটি বিদেশি পিস্তল এবং ভারতীয় কারিগরের বানানো অস্ত্র প্রতিটির দাম ৫০ হাজার টাকা হাঁকায় জাকির। এ সময় তিনটি থ্রি-কোয়ার্টার বন্দুক সরবরাহের চুক্তি চূড়ান্ত করতে শোনা যায় জাকিরকে।
জাকিরকে বলতে শোনা যায়, যুদ্ধ যুদ্ধের মতো করতে হবে। এরপরই তিনি সোবহানকে আশ্বস্ত করেন, দূর থেকে গুলি করলেও যেন লক্ষ্যবস্তু পড়ে যায়-সেজন্য ‘মোটা দানা’ ধরনের বিশেষ গুলি ব্যবহার করতে হবে।
কথোপকথনে স্পষ্টভাবে উঠে আসে, হত্যাকাণ্ড নিশ্চিত করতেই এ ধরনের গুলি ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অডিওতে আরও জানা যায়, ২৫ পিস কার্তুজের একটি প্যাকেটের দাম ৪৮ হাজার টাকা এবং সেভেন পয়েন্ট সিক্স ফাইভ গুলির প্রতিটির দাম দুই হাজার টাকা করে দাম হাঁকায় জাকির। এনে দেওয়ার জন্য দুই হাজার দিতে হবে বলে জানায় জাকির।
জাকির বলেন, রাউজানের কামাল নামে এক ব্যক্তির কাছেও তিনি পূর্বে অস্ত্র পাঠিয়েছেন। অর্ডার দেওয়ার দুই ঘণ্টার মধ্যেই তিনি গুলি সরবরাহ করতে পারবেন। এ সময় অজ্ঞাতপরিচয় একজনকে হত্যার পরিকল্পনা নিয়ে দুজনের মধ্যে আলোচনা হয়।
সোবহানকে উদ্দেশ্য করে জাকির বলেন, প্রয়োজনে তিনি পেশাদার শুটার পাঠিয়ে দেবেন। তার ভাষায়, ‘অস্ত্র ছাড়া টিকে থাকা যাবে না।’
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (পিআর) আমিনুর রশিদ যুগান্তরকে বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অডিও রেকর্ডটি ভাইরাল হওয়ায় সেটি আমাদেরও নজরে এসেছে। পুলিশ কমিশনার স্যার সব ওসিকে এটা নিয়ে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি।
সূত্র: যুগান্তর