রাজু চৌধুরী : অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম আবুল কাশেম। তিনি নগরীর উত্তর পতেঙ্গার মাইজপাড়া মাহমুদুন্নবী চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
দশম শ্রেণির বিজ্ঞান শাখার একজন ছাত্রী অভিযোগ করে বলে, গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর সকাল সোয়া নয়টার দিকে স্কুলে কোচিং করতে গেলে সেখানে স্কুলের গেইট বন্ধ ছিল। ওই সময় প্রায় একঘণ্টা অপেক্ষা করার পর পরীক্ষার্থীরা সবাই বাসায় চলে যায়। এরপর শনিবার স্কুলে গেলে সবাইকে মারধর করে প্রধান শিক্ষক। আমি একটু দূরে ছিলাম। মেয়েদের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়া তার স্বভাব। তাই দূর থেকে স্যারের কথার উত্তর দিলে তিনি তেড়ে এসে আমার মুখ হাত দিয়ে চেপে ধরে খামচি দেন।
ওই ছাত্রী আরও বলেন, আমার দুই হাত ধরে ব্ল্যাকবোর্ডে নিয়ে গিয়ে সেখানে মাথা ধাক্কা লাগান। এ সময় আমাকে খারাপ ভাষায় গালিগালাজ করেন। তখন আমাকে বলেন, আমি নাকি চরিত্রহীনা এবং ক্লাসের খারাপ মেয়ে। তিনি বলেন, তোরা কিভাবে পরীক্ষায় পাস করিস আমি দেখে নেবো। মাইজপাড়া মাহমুদুন্নবী চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এমএ আবুল কাশেমের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
২০১৮ সালের ২০ নভেম্বর মাহমুদুন্নবী চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী বোরকা পরে বিদ্যালয়ে আসলে তাকে ক্লাসে প্রবেশ করতে দেননি প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান