কূটনৈতিক প্রতিবেদক : মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার করা গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী মামলার অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ আজ, আইসিজে’র গ্রহণযোগ্য ও উপযোগী রায় নিয়ে আশাবাদী বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার রাতে এমনটাই জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, মিয়ানমার বারবার কথা দিয়েও কথা রাখছে না। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে দিতে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এটা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এ সমস্যার সমাধান মিয়ানমারের মাধ্যমেই আসতে হবে।
তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে আগেও আমাদের দেশে রোহিঙ্গা এসেছিল। তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আমরা মিয়ানমারকে বলেছি, রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে হবে। বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে হবে। কিন্তু সমস্যা হলো মিয়ানমারের লোকেরাই তাদের লোককে বিশ্বাস করে না। আমরা কিছু বললেই মিয়ানমার বলে তারা করবে, পরে তারা আর কিছু করে না।
আইসিজের রায় দেশে ফিরে যাওয়ার পথকে সুগম করবে বলে মনে করছেন বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীরা। আরকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মুহিব উল্লাহ বলেন, আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ের মাধ্যমে মিয়ানমারের ওপর চাপ তৈরি হবে। এতে মিয়ানমার আমাদের ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হবে। অন্তর্বর্তী রায় আমাদের পক্ষে যাবে।
২০১৭ সালের ডিসেম্বরে মিয়ানমার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর গণহত্যার অভিযোগ এনে গেল নভেম্বরে মামলাটি করে গাম্বিয়া। রোহিঙ্গা ইস্যুতে এই প্রথম কোন আন্তর্জাতিক আদালতের রায় আসছে। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নৃশংসতার অভিযোগে গাম্বিয়া বলছে, নিজ দেশের সৈন্যদের জবাবদিহি করার জন্য মিয়ানমারকে বিশ্বাস করা যায় না এবং সহিংসতা বন্ধের জন্য এখনই ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।