শিরোনাম
◈ অর্থনীতিতে ইতিবাচক ইঙ্গিত: রেকর্ডসংখ্যক কোটিপতি ব্যাংক হিসাব ◈ কাতার ও ফিলিস্তিনের প্রতি অবিচল সমর্থন জানালো বাংলাদেশ ◈ দুবাইয়ে বিকৃত যৌ.নাচার ব্যবসার চক্রের মুখোশ উন্মোচন এবার বিবিসির অনুসন্ধানে! ◈ জনপ্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তাকে বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে বদলি ◈ ‘আমার নাম স্বস্তিকা, বুড়িমা নই’ ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বস্তিকা ◈ তিন জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার ◈ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আবার বাড়ল ◈ আর্থিক সুবিধা নেওয়ায় কর কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ লড়াই ক‌রে‌ছে হংকং, শেষ দি‌কে হাসারাঙ্গার দাপ‌টে জয় পে‌লো শ্রীলঙ্কা ◈ দুর্গাপূজায় মণ্ডপ পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকে আমন্ত্রণ হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের

প্রকাশিত : ২২ জানুয়ারী, ২০২০, ০৭:৫৬ সকাল
আপডেট : ২২ জানুয়ারী, ২০২০, ০৭:৫৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রোহিঙ্গাদের নিয়ে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ও বাস্তবতাকে উপলব্ধি

 

আরিফ মাহবুব : আসুন রোহিঙ্গাদের নিয়ে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ও বাস্তবতাকে উপলব্ধি করি। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে গণহত্যা বন্ধ করা ও বাংলাদেশ থেকে পনেরো লাখ রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার যেকোনো পদক্ষেপ নিলেই যে তা আলোর মুখ দেখবে তা নিশ্চিতভাবে বলা যায় না। কারণ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য চীন তাতে বাধা দেবেই আর তার সঙ্গে রাশিয়াও থাকে পারে। পশ্চিম এশিয়াতে চীনের ব্যবসা বাণিজ্যে সফলতা ও আধিপত্য বিস্তারে মিয়ানমারের কিয়কপিউ শহরে বঙ্গোপসাগরের ধারে একটি গভীর সমুদ্রবন্দর বানানোর ঘোষণা দিয়েছে চীন, বন্দরটির ৭০ শতাংশের অর্থায়ন করছে চীন বাকি ৩০ শতাংশ দেবে মিয়ানমার।

এছাড়াও বাংলাদেশের চট্টগ্রামে একটি সমুদ্রবন্দরের অর্থায়ন করছে চীন, তার মানে দাঁড়াচ্ছে চীন বাংলাদেশকেও হাতে রেখে মিয়ানমারের সঙ্গে তাদের ব্যাবসায়িক স্বার্থেই রোহিঙ্গা ইস্যুতে তালবাহানা করার সুযোগ গ্রহণ করবে। যেহেতু মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যেই চীন বন্দরটি নির্মাণ করতে যাচ্ছে, কাজেই বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি বা চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কে কিছুটা হলেও এ মুহুর্তে টানাপড়া চলছে, রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও নাগরিকত্ব প্রদানে মিয়ানমারের অনীহা থাকলেও চীন যে সে ব্যাপারে নাক গলিয়ে সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসবে, সেটা বাংলাদেশের জন্যে শুধুই দুরাশা, ভারত মিয়ানমারের সম্পর্ক বিগত দিনে যেমন ছিলো ঠিক তেমনি রাখতে চাইবে।

কারণ বন্দর ব্যবহার করে বাণিজ্যের সুবিধা নিতে কে না চায়? চীন মালাক্কা প্রণালি দিয়ে পশ্চিমা দেশ থেকে পণ্য পরিবহন ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে তেল আমদানি করতে মিয়ানমারের এই বন্দর ব্যবহার করে সময় ও ঝুঁকি দুটোই কমাতে পারবে। চীন কোনোদিনই চাইবে না যে পনেরো লক্ষ রোহিঙ্গাদের রাখাইন প্রদেশে ঢুকতে দিয়ে অত্র এলাকার পরিবেশ আবারও অস্থিতিশীল হয়ে উঠুক। তাই আপাতত ধরে নেওয়া যায় যে খুব সহসাই বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গারা তাদের নিজের দেশে নাগরিকত্ব নিয়ে ফিরে যেতে পারছে না, যা কিনা বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়েছে। বাংলাদেশও কখনোই চাইবে না যে চীনের সঙ্গে তাদের বাণিজ্যিক সম্পর্কের অবনতি ঘটুক। দাদাদের যতোই আদা পড়া খাওয়ানো হোক না কেন, বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরও সুকৌশলী হতে না পারলে পনেরো লক্ষ রোহিঙ্গাদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন প্রায় অনিশ্চিত। বাংলাদেশের এখন এইটাই কাজ, ‘ঠেলা সামালও।’ ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়