শিরোনাম
◈ ১০০ বছর বড় কম্পন নেই—আজকের ভূমিকম্প বড় বিপদের ইঙ্গিত, বলছেন বিশেষজ্ঞরা ◈ বাংলাদেশ ম্যাচের আগে জার্মানিকে উড়িয়ে দিলো থাইল্যান্ড  ◈ আয়ারল‌্যান্ডের বিরু‌দ্ধে বিশাল লিড নেওয়ার পথে বাংলাদেশ  ◈ ওয়াশিংটন ডিসিতে ট্রাম্পের ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন স্থগিত করলেন বিচারক ◈ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপার্সনের সৌজন্য সাক্ষাৎ ◈ বেনাপোল সীমান্তে বিপুল পরিমানে বৈদেশিক মুদ্রাসহ ভারত ফেরত যাত্রী আটক ◈ ১৬ লাখ মানুষ ১০ মাসে স্বেচ্ছায় যুক্তরাষ্ট্র ছেড়েছেন  ◈ স্টার্ক ঝ‌ড়ে ১৭২ রানে অলআউট ইংল্যান্ড ◈ বন্ধু রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্মানজনক সহাবস্থানে বিশ্বাসী বলে যে বার্তা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ ঢাকা সেনানিবাসে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বেগম খালেদা জিয়া

প্রকাশিত : ২১ জানুয়ারী, ২০২০, ০৬:৩৮ সকাল
আপডেট : ২১ জানুয়ারী, ২০২০, ০৬:৩৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মা কোলে নিতেই নড়ে উঠলো মৃত শিশু

নিউজ ডেস্ক : প্রসূতি জিনিয়া খাতুনের কোলজুড়ে জন্ম নেয় এক কন্যাশিশু। কিন্তু শিশুটি জন্ম নিলেও বাবা-মায়ের মুখে হতাশার ছাপ। কারণ, সদ্য জন্ম নেয়া শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেছে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। সোমবার ভোরে চুয়াডাঙ্গা শহরের হাসপাতাল সড়কের উপশম নার্সিং হোমে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে জন্ম নেয় শিশুটি। শিশুটিকে যখন মৃত ভেবে প্যাকেটে ভরার প্রস্তুতি চলছিলো, ঠিক তখনই শিশুটি নড়ে উঠে তার প্রাণের জানান দেয়। এরপর তড়িঘড়ি করে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ শিশুটিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সোমবার সন্ধ্যার পর জানাজানি হলে বিষয়টি ‘টক অব দ্য টাউনে’ পরিণত হয়। নয়া দিগন্ত

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হাজরাহাটির আবদুল হালিম ও জিনিয়া খাতুনের বিয়ে হয় কয়েক বছর আগে। এরই মধ্যে জিনিয়ার গর্ভে সন্তান আসে। তাকে নিয়মিত চেকআপ করতেন ডা. জিন্নাতুল আরা। গত রোববার বিকেলে জিনিয়ার প্রসববেদনা শুরু হলে তাকে নেয়া হয় ডা. জিন্নাতুল আরার মালিকানাধীন জেলা শহরের উপশম নার্সিং হোমে। সেখানেই ডা. জিন্নাতুল আরার তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসাধীন ছিলেন প্রসূতি জিনিয়া। এরপর সোমবার ভোর চারটার দিকে সময়ের আগেই একটি কন্যাসন্তান প্রসব করেন জিনিয়া খাতুন।

প্রসূতি জিনিয়া খাতুন জানান, রোববার বিকেলে প্রসববেদনা উঠলে পরিবারের সদস্যরা তাকে উপশম নার্সিং হোমে ভর্তি করেন। ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সিজার করার কথা জানানো হলেও সোমবার ভোরে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে তার কন্যাসন্তান ভূমিষ্ঠ হয়। ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর ক্লিনিকের আয়া ও চিকিৎসকেরা তার মৃত কন্যাশিশু হয়েছে বলে জানান।

প্রসূতি জিনিয়ার মা কুলসুম বেগম জানান, ‘মৃত কন্যাসন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার খবরে আমরা যখন দাফন-কাফনের জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকি, তখনই আমার মেয়ে তার কন্যাকে শেষবারের মতো দেখতে চায়। এরপর শিশুটিকে তার মা কোলে নিতেই নড়ে ওঠে সে। এ সময় আমরা আনন্দে চিৎকার শুরু করলে ডা. জিন্নাতুল আরা সঙ্গে সঙ্গে শিশুকে অক্সিজেন দিয়ে চিকিৎসা শুরু করেন। শিশুটির অবস্থা উন্নতি হলে শিশুটিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করতে বলেন তিনি। পরে তার পরামর্শে আমরা শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করি। বর্তমানে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’

শিশুটির নানা সজীত মণ্ডল জানান, হঠাৎ করে শিশুটি নড়ে ওঠায় প্রথমে আমরাই বিশ্বাস করতে পারিনি। ডাক্তারদের কাছেও বিষয়টি অবিশ্বাস্য লাগে। প্রথমে চিকিৎসকেরা কোনোভাবেই মানতে চাচ্ছিলেন না যে শিশুটি বেঁচে আছে। সদ্য ভূমিষ্ঠ হওয়া আমার নাতনি যদি আমার মেয়ের কোলে নড়ে না উঠতো, তাহলে হয়তো পলিথিনের ব্যাগের মধ্যেই সে মারা যেতো।’

এ ব্যাপারে চিকিৎসক ডা. জিন্নাতুল আরা বলেন, ‘শিশুটি যখন হয়, তখন একেবারেই তার কোনো শ্বাস-প্রশ্বাস ছিলো না। শুধু নাভির কাছে কেবল ‘ঢিবঢিব’ শব্দ শোনা যাচ্ছিলো। চার ঘণ্টা অক্সিজেন দেয়ার পর সে কিছুটা সুস্থ হলে আমরা তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য পাঠিয়ে দিই।’

এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আসাদুর রহমান মালিক খোকন বলেন, ‘সময় হওয়ার আগেই শিশুটি জন্ম নিয়েছে। তাকে এখন ইনকিউবেটরের মধ্যে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি, শিশুটিকে দ্রুত সুস্থ করে তুলতে। আপাতত সে অনেকটা সুস্থ, তবে এখনো ঝুঁকিমুক্ত নয়।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়