ইমরুল শাহেদ : চলচ্চিত্র শিল্পের চরম সংকটময় মুহূর্তে প্রায় সাড়ে সাত বছর পর প্রযোজক পরিবেশক সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রযোজক পরিবেশকরা ভোট পাওয়ার জন্য নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। নির্বাচিতদের বিভিন্ন প্রতিশ্রুতির মধ্যে একটি হলো নির্বাচিত হলে তারা প্রত্যেকেই একটি করে ছবি প্রযোজনা করবেন। কিন্তু নির্বাচন হওয়ার পর প্রায় পাঁচ মাস অতিবাহিত হয়েছে, নির্বাচিত নেতাদের কেউ এখন পর্যন্ত কোনো ছবির নাম ঘোষণাও করেননি। তারা সভা-সমিতি, ছবির মহরত এবং বিভিন্ন নীতি নির্ধারণী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছেন। ছবি নির্মাণ নিয়ে কারও কোনো মাথাব্যথা নেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নির্মাতা বলেন, ‘তারা নেতা নির্বাচিত হয়েছেন নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য, ছবি নির্মাণ করার জন্য নয়। ভোট নেওয়ার আগে তারা নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, কিন্তু তা রক্ষা করতেই হবে এমন প্রতিশ্রুতি তো দেননি’।
এভাবেই নেতাদের প্রতি ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে চলচ্চিত্র শিল্পের সর্বত্র। কিছুদিন আগে চলচ্চিত্র নির্মাণ সচল করার জন্য প্রযোজক পরিবেশক সমিতির চাঁদা এক লাখ সাত হাজার টাকার পরিবর্তে শর্ত সাপেক্ষে এগারো হাজার টাকা করে ১৭টি ছবির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই অনুমোদন পাওয়া প্রযোজক পরিবেশক বা কোন কোন কোম্পানিকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, তা প্রকাশ করতে সংশ্লিষ্ট সমিতি নারাজ। সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরুর সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো লাভ হয়নি। সমিতির সঙ্গে যোগাযোগ করলে জবাব পাওয়া যায়, এখনো কোনো প্রযোজক বা কোম্পানি তাদের কাছ থেকে সনদপত্র নেননি। সুতরাং কারও নাম বলা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাহলে এ ক্ষেত্রেও কোনো অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। নেতৃস্থানীয় নিয়মিত প্রযোজক পরিবেশক এবং তাদের প্রাধান্য দেওয়া নির্মাতারা যদি ছবি না বানান তাহলে চলচ্চিত্র শিল্পের গতি সঞ্চার হবে কীভাবে? প্রযোজক পরিবেশক সমিতির জন্য এখন প্রয়োজন চলচ্চিত্র নির্মাণের বিষয়টি নিশ্চিত করা।