শিরোনাম

প্রকাশিত : ২০ জানুয়ারী, ২০২০, ০১:৩৪ রাত
আপডেট : ২০ জানুয়ারী, ২০২০, ০১:৩৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিজেপি সভাপতি পদে অমিত শাহের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন জগৎপ্রকাশ নড্ডা, আজ ঘোষণা

ইয়াসিন আরাফাত : আজ দুপুর আড়াইটা নাগাদ ঘোষণা করা হবে দলের নতুন সভাপতির নাম। ভোটের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দলের সভাপতি বাছাই করার কথা থাকলেও জগৎপ্রকাশ নড্ডা ছাড়া অন্য কেউ মনোনয়ন পেশ না করায় ভোটের সম্ভাবনা আর থাকছে না।  ফলে অমিত শাহের উত্তরসূরি হতে চলেছেন তিনিই। এতে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে দলীয় নেতা কর্মীদের মাঝে। আনন্দবাজার

বিজেপি নেতারা বলছেন, অমিত শাহ দলের সভাপতি থাকাকালীন দেশের অর্ধেকের বেশি রাজ্যে সভাপতি পদে নির্বাচন হয়েছে। আর সিংহভাগ রাজ্যেই তারই অনুগতরা সভাপতি পদে বহাল এখনো আছেন। জগৎপ্রকাশ নড্ডাও অমিত শাহের অত্যন্ত কাছের মানুষ। বিজেপির নতুন সভাপতিকে রাজ্যে-রাজ্যে তাদের নিয়েই কাজ করতে হবে, যাদের আনুগত্য রয়েছে অমিত শাহের প্রতি। শুধু তাই নয়, সংগঠনের দায়িত্বেও অমিত শাহ বি এল সন্তোষকে নিয়ে এসেছেন, যার কার্যশৈলী অনেকটা অমিত শাহের মতোই আক্রমণাত্মক।

বিজেপি নেতারা আরও বলছেন, এর আগে সব সভাপতি নির্বাচনের আগে ও পরে ধুমধাম করা হয়েছে। কিন্তু এবার তা হলো না, আমাদের জানানো হয়েছিলো, আগামীকাল সকাল দশটা থেকে দুপুর পর্যন্ত নির্বাচনের প্রক্রিয়া চলবে। প্রয়োজনে মঙ্গলবার ভোটাভুটি হবে। কিন্তু হঠাৎই একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয় সভাপতি নির্বাচন হচ্ছেনা। কারণ ইতোমধ্যেই নড্ডাকে দলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়েছে। এই ঘোষণার পরে প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে বিজেপির সভাপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার স্থানই কি নেই? তা না হলে নির্বাচন হওয়ার আগের দিনই সভাপতির নাম ঘোষণার সময় ঘোষণা করে দেওয়া হল কী ভাবে?

বিজেপি শিবিরের দাবি, অটলবিহারী বাজপেয়ী যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, লালকৃষ্ণ আদভানি ছিলেন উপপ্রধানমন্ত্রী। সেই সময়ে কুশাভাই ঠাকরে, বঙ্গারু লক্ষ্মণ, জনা কৃষ্ণমূর্তি, বেঙ্কাইয়া নাইডুর মতো নেতারা বিজেপির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এর মধ্যে কুশাভাই ঠাকরের একটু দাপট ছিলো। কিন্তু বাকিরা অটল-আদভানির ইশারাতেই দল চালাতেন। এখন ক্ষমতার রাশ নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ জুটির হাতে। প্রশ্ন উঠছে, নড্ডার অভিষেকের পর কি বিজেপির পুরনো রেওয়াজই ফের বহাল হবে? সম্পাদনা : সালেহ্ বিপ্লব

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়