শিরোনাম
◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে ◈ সেনা গোয়েন্দাসংস্থার বিরুদ্ধে ৬ পাক বিচারপতির ভয় দেখানোর অভিযোগ

প্রকাশিত : ১৯ জানুয়ারী, ২০২০, ১২:১০ দুপুর
আপডেট : ১৯ জানুয়ারী, ২০২০, ১২:১০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অসময়ের ইলিশে বাজার সয়লাব, ফিরে এসেছে সেকেন্ড সিজন

মাজহারুল ইসলাম : বরিশালের হাটবাজারেই শুধু নয় অলিগলিতেও ফেরি করে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। ওইসব ইলিশ আকৃতি যেমন বড়, তেমনি দামও কম। আর তাই ইলিশের এমন প্রাচুর্যে খুশি ভোজনরসিক ও বিক্রেতারা। নদনদীতে এসব ইলিশ ধরা পড়ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জেলেরা। তবে অসময়ে ইলিশ পাওয়া অস্বাভাবিক কিনা, তা নিয়ে সংশয়ে আছেন মৎস্যজীবীরাও। যদিও বরিশাল মৎস্য অধিদপ্তর ও ইলিশ গবেষকরা এটাকে ইলিশের 'সেকেন্ড সিজন' ফিরে আসার সম্ভাবনা বলে মনে করছেন। সমকাল

শনিবার নগরীর পোর্ট রোড মৎস্য মোকামের ব্যবসায়ী মো. জহির বলেন, জানুয়ারি মাসে এতো ইলিশ গত ১৫ বছরে দেখা যায়নি। শনিবার প্রায় ৫০০ মণ ইলিশ উঠেছে এ মোকামে। যার পাইকারি দাম এলসি সাইজ (৭০০-৮০০ গ্রাম ওজন) প্রতি মণ ২৫ হাজার টাকা এবং এক কেজি সাইজ প্রতি মণ ৩২ হাজার টাকা। এ হিসাবে প্রতি কেজির দাম পড়েছে এলসি সাইজ ৬২৫ টাকা এবং ১ কেজি সাইজ ৮০০ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলেন, মূল সিজন সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসের দাম এবং বর্তমান সময়ে ইলিশের দামের মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য নেই।

এ ব্যাপারে বরিশাল মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা (ইলিশ) ড. বিমল চন্দ্র দাস বলেন, কয়েক দিন ধরে বেশি পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়ছে। এ বছর শীতে মাছের আকারও ভালো। তিনি বলেন, পূর্ণিমার জো'তে যে পরিমাণ ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে, ইলিশের 'সেকেন্ড সিজন' আবার ফিরে এসেছে। গত ১৫-২০ বছরে মধ্যে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে এভাবে ইলিশ পাওয়া যায়নি। মৎস্য কর্মকর্তা বিমল চন্দ্র আরও বলেন, ২০০২ সালের আগে এ মৌসুমে এমন ইলিশ ধরা পড়তো। সে অবস্থা হয়তো আবার ফিরে আসছে। অফ সিজন সত্ত্বেও গত ৫ দিন ইলিশের সরবরাহ ব্যাপক।

বরিশাল মৎস্য আড়তদার সমিতির সভাপতি অজিত দাস বলেন, শীতে আগে এতো বড় ইলিশ দেখা যায়নি। এবার অসময়ে ইলিশ বেশি দেখা যাচ্ছে। এর সঙ্গে জাটকাও ধরা পড়ছে। তবে প্রবীণ এ মৎস্য ব্যবসায়ীর আশঙ্কা, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ইলিশের মৌসুম পরিবর্তন হতে পারে।

এ ব্যাপারে চাঁদপুর মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ইলিশ গবেষক আনিচুর রহমান জানান, শীতে এভাবে ইলিশ পাওয়া ভালো খবর। ইলিশ আহরণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে প্রজনন ও বড় হওয়া নিরাপদ করায় নদ-নদীতে ইলিশ বেড়েছে। এখন সেপ্টেম্বর অক্টোবরে নয়, সারাবছরই ইলিশ পাওয়া যাবে। গবেষক রহমান আরও জানান, অসময়ে ইলিশ পাওয়া নিয়ে মৎস্য অধিদপ্তর তার মত জানতে চেয়েছে। তিনি তাদের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছেন, এটা 'ইলিশের সেকেন্ড সিজন' হতে পারে। এ অবস্থা ধরে রাখতে হবে। জাটকা নিধন বন্ধ ও মা ইলিশ রক্ষা করতে পারলে নতুন সিজনে ইলিশ পাওয়ার সম্ভাবনা আরও বাড়বে। সম্পাদনা : সালেহ্ বিপ্লব

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়