শেখ আদনান ফাহদ
রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র আবরারকে রাস্তা পার করে বড় কয়েকটি হাসপাতালের যেকোনো একটিতে নিলেই হতো। তা না করে মহাখালীতে একটা প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলো কেন? এর কারণ দুটো হতে পারে। প্রথমত, আবরার মারা গেছে এই খবর প্রথমেই দিতে চায়নি প্রথম আলো কর্তৃপক্ষ। কারণ অনুষ্ঠান চলাকালীন মৃত্যুর খবর জানাজানি হলে লাখ লাখ টাকার লোকসান হতো। একজন আবরারের জীবনের চেয়ে নিশ্চয় প্রথম আলোর আয় বেশি গুরুত্বপূর্ণ। দ্বিতীয়ত, আবরার মারা যায়নি তখনো, পাশের হাসপাতালে নিতে পারলে হয়তো আবরারকে বাঁচানো যেতো। পাশের হাসপাতালে না নিয়ে অনেক দূরে, জ্যামের শহর ঢাকায় মহাখালীর একটা প্রাইভেট হাসপাতালে কেন নিয়ে যাওয়া হলো? যারা ভালো ব্যবসা বোঝে তারা মৃত্যুকেও অর্থ উপার্জনের অবলম্বন করে ফেলতে পারে। বুয়েটের আবরার হত্যাকা-ের পর তার দাদার আহাজারীকে কীভাবে পণ্য বানানো হয়েছিলো মনে আছে? পবিত্র রমজান মাসে কীভাবে আজানকে পণ্য বানায় মিডিয়াগুলো। এখন শুনবেন বিএসআরএম আজান। প্রথম আলোর সঙ্গে সেই প্রাইভেট হাসপাতালের হয়তো চুক্তি আছে। তাদের কেউ অসুস্থ হলে সেখানে যাবে, বড় সেলিব্রিটি হলে তো কথাই নেই। সাধারণ আবরার হলেও চলবে। আবরার যদি ওই হাসপাতালে গিয়ে সুস্থ হয়ে যেতো, তাহলে প্রথম আলো পত্রিকায় হাসপাতালের নাম আসবে, রোগী বাড়বে। এ সবের বিনিময়ে হয়তো প্রথম আলোর লোকজন কম খরচে সেখানে চিকিৎসা পাবে। অন্য কাউকে আমি গালি দেবো না। যে মহান শিক্ষকরা ক্লাসে মিডিয়ার করপোরেট দাসত্বের কথা বলে আমাদের মুগ্ধতা অর্জন করতেন তাদেরই কয়েকজনকে দেখলাম এই করপোরেট হত্যাকা- নিয়ে একদম চুপ। আওয়ামী লীগ বিটের এক সাংবাদিক গত ১০ বছরে এতো কালো টাকা কামিয়েছেন যে আর ব্যাংকে রাখা নিরাপদ মনে করছেন না, তিলোত্তমা ঢাকায় এখন বিশাল বিজ্ঞাপনী অফিস নিয়েছেন। আবার তারই অফিসের এক সাংবাদিক বেতন না পেয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন। সাংবাদিকদের একটা অংশ সাংবাদিক পরিচয়ে ধান্দাবাজি করে। ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকÑ সবার বিচার করা যাবে, সাংবাদিক পরিচয়ধারী কারও বিচার হবে না, হতে পারে না? সাংবাদিক, সম্পাদক কী আইনের আওতায় পড়ে না? ফেসবুক থেকে