সিরাজুল ইসলাম : শুক্রবার তেহরানের মোসালা মসজিদে জুমার নামাজের ইমামতি শেষে খুতবায় এ কথা বলেন তিনি। প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানী বুধবার জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানোর দুইদিন পর খামেনি এ নামাজে ইমামতি করলেন। বিবিসি, ইয়ন, রয়টার্স
তিনি বলেন, বিশ্ব মোড়ল খ্যাত যুক্তরাষ্টের খালে থাপ্পড় মারার ক্ষমতা রয়েছে ইরানের। কারণ এটা আল্লাহর হাত। আর বাগদাদে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার দিনটি ছিলো আল্লাহর দিন। এ সময় যুক্তরাষ্ট্র নিপাত যাক স্লোগান দেন মুসল্লিরা।
কর্মকর্তাদের বরাতে ইরানের মেহর নিউজ জানিয়েছে, এ নামাজে ইমামিতর সঙ্গে চলমান বিক্ষোভের কোনও সম্পর্ক নেই। ইসলামী প্রজাতন্ত্রের ৩৩তম বার্ষিকীতে ৮০ বছর বয়সী খামেনি সব শেষ ২০১২ সালে জুমার নামাজে ইমামতি করেছিলেন।
৮ জানুয়ারি তেহরানে ইরানের ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইউক্রেনের একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে ১৭৬ আরোহীর সবাই মারা যান। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রচন্ড বিক্ষোভ দেখা দেয়। তারা রেভুলেশনারি গার্ডকে খুনি বলে স্লোগান দিতে থাকেন।
বোয়িং ৭৩৭ তেহরানের খামেনি বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরেই ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ভূপাতিত হয়। জেনারেল কাসেম সোলাইমানি হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ওই দিন ভোরে বাগদাদে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান। রেভুলেশনারি গার্ড বিমানটিকে মার্কিন যুদ্ধ বিমান মনে করে ভূপাতিত করে।