ইয়াসিন আরাফাত : বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়েছে মিয়ানমারের মোবাইল নেটওয়ার্ক। গোপনে বিক্রি হচ্ছে মিয়ানমারের একাধিক অপারেটরের সিমকার্ডও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সমস্যা বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি বয়ে আনবে। দ্রুতই এই সমস্যা রোধ করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করার পরামর্শও দেন তারা।
সম্প্রতি কক্সবাজারে অবস্থিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের শরণার্থীবিষয়ক সেল থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মিয়ানমারের মোবাইল নেটওয়ার্ক পাওয়া যাচ্ছে বলে তথ্য দেয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ চালায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার পর তারা মিয়ানমারের বেতার তরঙ্গের কাভারেজ বাংলাদেশ সীমান্তের ভেতরে ঢুকে পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে।
প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, মিয়ানমার থেকে আগত মোবাইল নেটওয়ার্কের সিগন্যাল এখন বাংলাদেশের ১০ কিলোমিটারের বেশি এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে এ নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে। ফলে বাংলাদেশি মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা আরোপ করা হলেও মিয়ানমারের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে সব ধরনের মোবাইল যোগাযোগ চালিয়ে যেতে পারছে রোহিঙ্গারা।
জানা গেছে, বিষয়টি বিটিআরসি থেকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগকে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি সত্য। এটা আন্তর্জাতিক টেলিকম ইউনিয়নের নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। কিন্তু বাংলাদেশের এ ব্যাপারে কারিগরিভাবে তেমন কিছু করার নেই। কেবল নেটওয়ার্ক জ্যামার বসানো যেতে পারে, কিন্তু এর জন্য কয়েক হাজার জ্যামার কিনতে হবে, যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং একই সঙ্গে স্বাস্থ্যঝুঁকিও সৃষ্টি করবে। মিয়ানমারের নেটওয়ার্ক যাতে বাংলাদেশ সীমান্তের ভেতরে আসতে না পারে, সে ব্যাপারে কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে ব্যবস্থা নিতে পারাটাই হবে সবচেয়ে ভালো সমাধান। বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে মিয়ানমারের সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে। সম্পাদনা : সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :