আসিফুজ্জামান পৃথিল : আদালতে দিল্লি সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিলো, আইনের সমস্ত বিকল্প শেষ হওয়া এবং প্রাণভিক্ষার আবেদন প্রেসিডেন্ট খারিজ করার পরেও ফাঁসির আগে ১৪ দিন সময় দিতে হয়। তাই নিম্ন আদালতের নির্দেশ মতো ২২ জানুয়ারি ফাঁসি কার্যকর করা সম্ভব নয়। নিউজ ১৮
দুই সাজাপ্রাপ্ত আসামি ভারতের সুপ্রিম কোর্টে রায় সংশোধনের আর্জি (কিউরেটিভ পিটিশন) দায়ের করেছিল। মঙ্গলবার সেই আবেদন খারিজ হওয়ার প্রেসিডেন্টের কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন জানায় মুকেশ। তার পর মৃত্যু পরোয়ানা রদের আবেদন নিয়ে দ্বারস্থ হয় দিল্লি হাইকোর্টের। তার আইনজীবীদের যুক্তি ছিল, প্রেসিডেন্ট প্রাণভিক্ষার আবেদন মঞ্জুর করতে পারেন। তাই আগেভাগে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করা বেআইনি।
বুধবার সেই মামলার শুনানিতে দিল্লি সরকারের পক্ষ থেকে আদালতে জানানো হয়, জেল ম্যানুয়াল অনুযায়ী প্রাণভিক্ষার আবেদনের সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত মৃত্যু পরোয়ানা কার্যকর করতে পারে না সরকার। আবার প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ হলেও তার পর ১৪ দিন সময় দিতে হয়।
সরকারের পক্ষে আইনজীবী রাহুল মেহরা আদালতে জানান, মুকেশ রাজ্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রাণভিক্ষার আবেদন জানিয়েছিলো। সেই আবেদন খারিজ করে উপরাজ্যপালের কাছে পাঠানো হয়েছে। এ বার উপ রাজ্যপাল সেই আবেদন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে পাঠাবেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় পাঠাবে প্রেসিডেন্টের কাছে।
মুকেশের আবেদন খারিজ করে দিল্লি হাইকোর্ট জানিয়েছে, মৃত্যু পরোয়ানা জারির মধ্যে কোনও ভুল নেই। এখন এ নিয়ে কোনও আপত্তি থাকলে বা পদ্ধতিগত ত্রুটি থাকলে তার জন্য নিম্ন আদালতেই যেতে হবে আবেদনকারীকে। সেখানেই প্রেসিডেন্টের কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদনের বিষয়টি আদালতকে জানাতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :