আসিফুজ্জামান পৃথিল, শাহনাজ বেগম : এই চরম সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে পরিবারের কোনও জেষ্ঠ্য সদস্যের সঙ্গে আলোচনা করেননি এই রাজকীয় দম্পতি। বিবিসির রয়্যাল করসপন্ডেন্ট জনি ডায়মন্ড জানিয়েছেন, এই বিষয়ে বাকিংহাম প্যালেসকে সম্পূর্ন অন্ধকারে রাখা হয়েছিলো। বিবিসি, সিএনএন, ডেইলি মেইল
বাকিংহাম ব্যালেস এই বিষয়টিকে অত্যন্ত স্পর্শকাতর বলে উল্লেখ করেছে।
নিজেদের বিবৃতিতে হ্যারি ও মেগান বলেছেন, বহু মাস ধরে পারস্পরিক আলোচনার পরে তারা এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। তারা জানান, এখন থেকে ভাগ করে যুক্তরাজ্য ও উত্তর আমেরিকায় সময় কাটাবেন তারা। বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘মহামান্য রানী, কমনওয়েলথ এবং প্রজাদের সেবা করতে পারাটা ছিলো অত্যন্ত সম্মানের।’
‘আমারা দুই মহাদেশ মিলিয়ে থাকবো। এই ভৌগলিক ভারসাম্য আমাদের সন্তানের বেড়ে উঠায় সহায়ক হবে। সেই একই সঙ্গে পাবে রাজকীয় ঐতিহ্য, আবার পাবে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ।’
এই জুটি সাসেক্স রয়্যাল চ্যারেটি নামের একটি দাতব্য চালুর প্রস্তুতি নিয়েছেন। তবে এই দাতব্যের কার্যক্রম যুক্তরাজ্যের চেয়ে অনেক বেশি যুক্তরাষ্ট্র ও আফ্রিকা নির্ভর হবে।
এই জুটি যুক্তরাষ্ট্রে থাকার বিষয়টি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডগুলো। মেগান মার্কেলযুক্তরাষ্ট্রে জন্মেছেন। ট্যাবলয়েডগুলো বলছে স্ত্রীর উপর খুব বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন ব্রিটিশ রাজপুত্র।