দেবদুলাল মুন্না: ১০ বছরের মেয়ে আরিফা। গত মাস থেকে মেয়েটি কেবল দুঃস্বপ্নই দেখে। রাতে ঘুমালে পরপরই ঘুম ভেঙে গেলে চিৎকার করে উঠে। তার বাবা আবদুল মজিদ মির এ কথা জানান সাউথ এশিয়ান মনিটরকে। আরিফার এক স্বজন জানান, আরিফা সেনাবাহিনীর এনকাউন্টারে তার ছোট ভাই মারা যাচ্ছে এমন দু:স্বপ্ন দেখে শুধু। আরিফার এক চিকিৎসক জানান, প্রায় দুইহাজারের বেশি শিশু মানসিক সমস্যার চিকিৎসা নিচ্ছে।
আজকাল পত্রিকা জানায়, কাশ্মীরের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ মোস্তাক মারগুব এক গবেষণাপত্রে বলেছেন, গত এক বছরে তিনি ১৬ বছরের কম বয়সী যত শিশুকে দেখেছেন, তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শিশু আক্রান্ত রয়েছে ‘ডিসোসিয়েটিভ ডিসঅর্ডারে (২২.৬৯ ভাগ)। এরপর সবচেয়ে বেশিসংখ্যক শিশু আক্রান্ত রয়েছে মেন্টাল রেটার্ডে (১৭.৬৪ ভাগ)। সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত ৮.৪ ভাগ, আর নিউরোটিক ডিসঅর্ডারে ভুগছে ৪.২ ভাগ। আর গবেষণায় একটি গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার হলো, ২.৫২ ভাগ ক্ষেত্রে রোগী পোস্ট-ট্রামেটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডারে ভুগছে।
দক্ষিণ কাশ্মিরের পুলওয়ামার বাসিন্দা আরিফারা। এ গ্রামের বেশির ভাগ শিশুই বাড়ির বাইরে যেতে চায় না। আকাশের দিকে তাকাতে ভয় পায়। তারা মনে করে আকাশের দিকে তাকালেই যুদ্ধ বিমান থেকে বোমা বর্ষণ হবে। ফলে ঘরের বাইরেই বের হতে চায় না। সবসময় ভীতি নিয়ে অভিভাবকদের কাছে জানতে চায় ‘আমরা মরে যাবো নাতো’।