মহিবুল ইজদানী খান ডাবলু: জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত কাদের সিদ্দিকীর অতীত সম্পর্কে হয়তো আমরা অনেকেই অবগত নয়l শুনা যায় ৭১ মুক্তিযুদ্ধের পূর্বে পাকিস্থান সেনা বাহিনী থেকে তিনি পদত্যাগ করেন। ছাত্র জীবনে কখনো রাজনীতির সাথে জড়িত থাকলেও আহামরি কিছু ছিলেন না। তবে কাদের সিদ্দিকীর বড় ভাই সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী সেই সময় রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেনl ৭১ মুক্তিযুদ্ধের শুরুতেই কাদের সিদ্দিকী পাকিস্থানের একটি যুদ্ধ জাহাজ দখল করে এক বিরাট অস্ত্রের ভান্ডার নিজ আয়ত্বে আনতে সক্ষম হন। এখান থেকেই মূলত শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধা কাদের সিদ্দিকীর বীরত্ব গাঁথা সংগ্রামের ইতিহাসl সম্ভবত এই অস্ত্র দিয়েই তিনি প্রাথমিক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন কাদেরিয়া বাহিনী। পরবর্তিতে এই কাদেরিয়া বাহিনীর মাধ্যমে হানাদার পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে গড়ে তুলেন এক তীব্র প্রতিরোধ।
স্বাধীনতা যুদ্ধের পর কাদের সিদ্দিকীকে বাঘা খেতাবে আখ্যায়িত করা হয়l পরবর্তীতে তার নামকরণে বাঘা বাঙালী নামে একটি চলচিত্রও নির্মান হয়।স্বাধীনতার পর পর বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার প্রধানের কাছে অস্ত্র জমা দিতে তিনি আপত্তি জানানl বলেন একমাত্র বঙ্গবন্ধুর কাছেই তিনি অস্ত্র জমা দিবেন। অন্য কারো কাছে নয়l বাস্তবে করেছিলেনও তাই।
একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বরের পর থেকে ৭৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদ তাকে দেওয়া না হলেও ৭৫ জানুয়ারিতে বঙ্গবন্ধু সমাজতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষে বাকশাল গঠন করলে তিনি কাদের সিদ্দিকীকে টাঙ্গাইলের গভর্নর নিযুক্ত করেনl কারণ বঙ্গবন্ধু সাহসী বীর এই মুক্তিবাহিনীর লিডারকে অত্যন্ত স্নেহ করতেনl শ্রদ্বেয় কাদের সিদ্দিকীও জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে গভীরভাবে শ্রদ্ধা করতেনl ১৯৭৫ পনরই আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করার সময় তিনি ঢাকার মোহাম্মদপুরের বাবর রোডের একটি দোতলা বাড়িতে ছিলেন। পরিতেক্ত শত্রূ সম্পত্তি হিসেবে বঙ্গবন্ধু সরকার এই বাড়িটি তার নামে এলট করে দিয়েছিলেন বলে অনেকে বলে থাকেন। এই বাসাটি তিনি কেন, কিভাবে, কতমূল্যে ও কার বদৌলতে পেয়েছিলেন সে উত্তর তিনি নিজেই দিতে পারবেনl তবে একজন সাহসী বীর মুক্তিযুদ্ধা হিসেবে ঐসময় যে নামমাত্র মূল্যে তিনি বাড়িটি পেয়েছিলেন তার মূল্য বর্তমান বাজারে অনেকl জানিনা বাসাটি এখনো তার দখলে আছে কি নাl থাকলে এব্যাপারে সরকারকে নুতন করে চিন্তা ভাবনা করা উচিতl এই বাড়ি থেকেই তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার বদলা নেওয়ার জন্য নিরুদ্দেশে বের হন l আবারওহাতে তুলে নেন অস্ত্র।
পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পরবর্তীতে তিনি ময়মনসিংহের নেত্রকোনা পাহাড়ী অঞ্চলেই গড়ে তুলেন এক বিশাল সশস্ত্র বাহিনী। কিন্তু এযাত্রায় নিজের ভুলের জন্য হয়তো তিনি সফল হতে পারেননি। তার এই যুদ্ধ হটাত করেই মাঝপথে এসে বন্ধ হয়ে যায়। অনেকের মতে মুরারজী দেশাই ভারতে ক্ষমতায় এলে ভারত কাদের সিদ্দিকীর বাহিনী থেকে সব ধরণের সহযোগিতা উঠিয়ে নেয়l তবে এবেপারে পাহাড়ের যুদ্ধে অংশগ্রহনকৃত বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকদের মধ্যে অনেকে বলেন বাহিনীর অভ্যন্তরীণ ক্ষমতার লড়াই ও একে ওপরের প্রতি অবিশ্বাস সৃষ্টির কারণে এই সশস্ত্র সংগ্রাম সফল হয়নি। এইজন্য অনেক যোদ্ধারা কাদের সিদ্দিকীকে দায়ী করেন। তবে কাদের সিদ্দিকী এই দায় মানতে রাজি নয়। এখন পর্যন্ত তিনি কথাও প্রকাশ্যে পচাত্তরের পাহাড়ের যুদ্ধের অবসান সেদিন কেন হয়েছিল সে সম্পর্কে কোনো কিছু বলেননি। কেন বলেননি তার উত্তর একমাত্র তিনিই দিতে পারবেন।
ব্যক্তিগতভাবে আমার সাথে এই বীর মুক্তিযুদ্ধা কমান্ডারের পরিচয় হয় ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ নুরুল ইসলাম নুরু ভাইয়ের (৭৩-৭৪) মাধ্যমে। এই নুরু ভাইয়ের সাথে বাবর রোডে ওনার বাসায় আমি কয়েকবার গিয়েছি। গভীর রাতে দোতলার একটি রুমে বসে তারমুখে মুক্তিযুদ্ধের অনেক গল্প শুনার সৌভাগ্য আমার হয়েছি। একরাতে তিনি তার জিপে করে আমাদের ঢাকার কয়েকটি ঐতিহাসিক জায়গা দেখাতে নিয়ে যানl নুরু ভাই ও আমি ছিলাম জিপের পেছনের সিটেl আর স্যার বসেন সামনের সিটেl ড্রাইভার ছাড়াও আমাদের সাথে আরেকজন বেক্তি ছিলেন যার নাম আমার মনে নেইl নুরু ভাই ছিলেন বঙ্গবন্ধুর জৈষ্ঠ পুত্র শেখ কামাল ভাইয়ের খুব প্রিয় এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে কাদেরিয়া বাহিনীর একজন বীর মুক্তিযুদ্ধা। পঁচাত্তরের জানুয়ারীতে বাকশাল প্রতিষ্ঠাকালে তিনি ছিলেন জাতীয় ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগর কমিটির আহবায়কl আমি এই কমিটির একজন সদস্য ছিলামl নুরু ভাইয়ের সাথে গভীর রাতে সংগঠনের কাজকর্ম শেষে যখন কোথাও রাতের খাবার পেতাম না তখন আমরা স্যারের বাসায় গিয়ে হাজির হতামl সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠার পাশেই নিচে ছিল রান্নাঘরl এখানে বসে খাওয়া শেষ করেই ওনার ড্রইং রুমে বসে কথা হয়েছে অনেকl
সেদিনের সেই বীর কাদের সিদ্দিকী এখন বাংলাদেশের রাজনীতিতে অন্যরূপ ধারণ করেছেনl মাথায় টুপি পরে এখন কোথায় কোথায় ধর্মের কথা বলেনl ৭২ সালের পরবর্তীতে নুরু ভাইয়ের সাথে যখন বাবর রোডের বাসায় যেতাম তখন কখনো স্যারকে নামাজ পড়াতো দূরের কথা ধর্ম নিয়েও কোনো কথা বলতে শুনিনিl স্বাধীনতার পর তিনি একদিন ঢাকার রেসক্রস ময়দানে প্রকাশ্যে গ্রামের নিরীহ নিরপরাধ রাজাকারদের বেনোয়েট দিয়ে হত্যা করেনl আবার এখন বলছেন গ্রামের নিরীহ নিরপরাধ লোকদের যারা রাজাকার বানিয়েছে তাদের বিচার হওয়া উচিতl গ্রামের দরিদ্র রাজাকারদের নয়l তাহলে প্রশ্ন আসতে পারে সেদিন দরিদ্র রাজাকারদের আপনি কেন হত্যা করেছিলেন? গ্রামের নিরপরাধ রাজাকারদের প্রকাশ্যে হত্যা করার জন্য কি এখন আপনার বিচার হওয়া উচিত নয়?
কাদের সিদ্দিকী একমুখে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে বলেন বোন অন্যদিকে জিয়াউর রহমানের স্ত্রী বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করে দলের প্রতিক গামছা পরিয়ে দেনl টেলিভিশনের একটি টক শোতে আবদুল কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমার সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাথে অনেক কথা হয়েছে। তিনি (খালেদা জিয়া) আমাকে সম্মান করেন, আমিও তাকে সম্মান করি। অনেকে মনে করতে পারেন- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমি অসম্মান করি। আসলে আমি তাকে (শেখ হাসিনা) মায়ের মত সম্মান করি। আমার কাছে এ পৃথিবীতে মায়ের উপরে কেউ নেই। একজন মানুষ হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একেবারে মায়ের মত। দুই দিক দিয়ে স্যারের এই কথা বলার পেছনে উদ্দেশ্য নিশ্চই একটা আছেl তবে রাজনীতির এই চালে তিনি সফল না বিফল হবেন তা একমাত্র ভবিষৎ বলতে পারবেl
এখানেই শেষ নয়l তিনি বলেন "এ দেশের যুবকরা যৌবনকালে নারীর সঙ্গে প্রেম করে, আমি কিন্তু কোনো নারীর সঙ্গে প্রেম করিনি। আমার ভালোবাসা মূলত বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে। আর সেই ভালোবাসা থেকে আমি দেশকে ভালোবাসতে শিখেছি।" অন্যদিকে বলেন জিয়া নাকি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক! বীর মুক্তিযুদ্ধা কাদের সিদ্দিকীর একই মুখে দুই ধরণের কথা শুনে অনেকে বলছেন তিনি কি তাহলে দুই নৌকায় পা দিয়েছেন? কারণ আজ যেখানে বলা হচ্ছে জিয়াউর রহমান পেছন থেকে বঙ্গবন্ধু হত্যার সকল কলকাঠি নাড়িয়েছেন সেখানে তিনি একসময় কি করে দেখা করতে গিয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়ার সাথে? lসত্যি সত্যি যদি তিনি বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসে থাকেন, শ্রদ্ধা করে থাকেন তাহলে খালেদা জিয়ার কাছে যান কোন স্বার্থে? বোন সম্মোধন করে কোথায় কোথায় বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনা করেন কি কারণে? শুধু তাই নয় মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী যুদ্ধপরাধী মালিকানাধীন একটি পত্রিকায় শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে রীতিমতো কলম লেখা শুরু করেন? মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী দিগন্ত টেলিভিশনে তাকে একসময় প্রায়ই দেখা যেতোl সম্প্রতি তিনি বলেছেন ভালোভাবে নির্বাচন হলে নৌকা যদি একটি আসন পায় তাহলে তিনি বঙ্গোপসাগরে ডুব দিবেনl তিনি খালেদা জিয়াকে বলেন গণতান্ত্রিক নেত্রী যিনি নাকি ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে কেক কেটে মিথ্যা জন্ম দিন পালন করেনl কাদের সিদ্দিকীর এই একই অঙ্গে এতো রূপ দেখে আজ অনেকেই বলছেন আসলে তিনি দুই দিকেই সম্পর্ক রাখার চেষ্টা করছেনl অর্থাৎ দুই নৌকায় পা দিয়ে দিয়েছেনl
তিনি একসময় তার এক লেখায় ৭৫ পাহাড়ের যুদ্ধের কয়েকজন সহ যোদ্ধার নাম লিখেছিলেনl এখানে আরোও অনেক নাম তিনি লিখেননি যারা এক একটা বাহিনীর নেতৃত্ব পর্যন্ত দিয়েছিলেনl না লেখার পেছনে অবশ্যই কারণ রয়েছেl প্রশ্ন হলো কি কারণে তিনি আজ এই নামগুলো এড়িয়ে যেতে চান? এসকল বীর যোদ্ধাদের অনেকে এখনো জীবিত আছেনl অনেকে এখনো বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সক্রিয়l তিনি তার সেই লেখায় লিখেছিলেন সাভারের মাহবুব, ফিরোজ, গাইবান্ধার কবির, সুজা, বারহাট্টার রহমান মাস্টার, দুর্গাপুরের আ. হক, কলমাকান্দার আজাদ খালেক, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তুলশী, ঢাকার রেন্টু, সেন্টু, চট্টগ্রামের মৌলভী সৈয়দ, সুকুমার, জিতেন, তমছের, হালিম, দুলাল, আবদুল্লাহ বীরপ্রতীক, বগুড়ার খসরু, গিরানী, ফজলু বীরপ্রতীক, হায়দার, সাঈদ, বদি, একরাম, বিশ্বজিৎ নন্দী আরও কতজন।
স্যার, আপনি আরো অন্যান্য নামকরা বীর যোদ্ধাদের নাম কেন লিখেননি? তারাতো ঐসময় আপনার পাশে থেকেই যুদ্ধ করেছে, দলের নেতৃত্ব পর্যন্ত দিয়েছেl আপনি কেন তাদের এড়িয়ে গেলেন? যিনি আপনার সাথে থেকে আপনার নির্দেশে যুদ্ধের নেতৃত্বে ছিলেন সেই সৈয়দ নুরুল ইসলামের কথা আপনি কি করে ভুলে গেলেন? এই নুরু ভাইয়ের সাথেই একসময় আমি আপনার বাবর রোডের বাসায় যেতামl আপনি কি করে ভুলে গেলেন মোহাম্মদ ইউনুস, রউফ শিকার, সুলতান মনসুর, দীপঙ্কর তালুকদার, নসু, লুকু, আব্দুস সামাদ পিনটু, শামিম আফজাল, মোবারক হোসেন সেলিম সহ আরো অনেকের নাম? এরাতো আপনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু হত্যার বদলা নেওয়ার জন্য হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছিলl এই এড়িয়ে যাওয়ার পেছনে নিশ্চই একটা কারণ আছে? কিন্তু কি সেই কারণ ?
সত্য কখনো চাপা থাকবেনা শ্রদ্বেয় কাদের সিদ্দিকী স্যারl আপনি না বললেও আমার মতো আরো অনেকে যারা ঢাকায় থেকে পরোক্ষভাবে এই যুদ্ধের সাথে সম্পর্ক রেখেছিলো তারা জানে আসল সত্য কিl অনেকেই জানে সেদিন কেন আপনি শেখ কামাল ভাইয়ের সবচেয়ে প্রিয় মানুষ নুরু ভাইকে মিথ্যা অভিযোগে হত্যা করার নির্দেশ দিয়েছিলেনl আপনি আজ না বললেও আমরা অনেকেই জানি নুরু ভাইকে হত্যা করার জন্য এসকল যোদ্ধারা আপনার বিরুদ্ধে সেদিন রিভোল্ট করেছিলl আর এই কারণেই আপনার সেদিনের সেই সশস্ত্র যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটেl একদিকে জিয়াউর রহমানের সামরিক সরকার কর্তৃক মুরারজী দেশাই সরকারের সাথে আঁতাত অন্যদিকে আপনার নির্দেশে নুরু ভাইকে হত্যা করা এই দুই কারণে বাহিনীতে শুরু হয়েছিল হানাহানিl আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে জিয়ার সামরিক সরকার ঘোষণা করেছিল সাধারণ ক্ষমাl অস্ত্র ছেড়ে অনেকেই সেদিন বাংলাদেশে ফিরে আসেl কিন্তু জিয়া সরকার তাদের ক্ষমা না করে জেলে প্রেরণ করেl এরা অনেকেই এখনো বেঁচে আছেl পঁচাত্তরের যোদ্ধা নামে একটি সংগঠন করেছেl এখানে তারা আপনাকে রাখেনিl কারণ তাদের অনেকের চোখে আপনি সৈয়দ নুরুল ইসলামের হত্যাকারীl অথচ এই সৈয়দ নুরুল ইসলাম নুরু ছিলেন আপনার একসময়ের অতি প্রিয় মানুষl সেদিন আপনি কেন সৈয়দ নুরুকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন তার উত্তর শুধুমাত্র আপনি দিতে পারবেনl হয়তো বলবেন বিশ্বাসঘাতক নতুবা বিদ্রোহীl কিন্তু বাস্তব কি?
স্যার ,ভারতে অবস্থানকালে সাংবাদিকের সাথে এক সাক্ষাৎকারে আপনি একসময় বলেছিলেন,"বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর আমি মাংশ খাওয়া ছেড়ে দিয়েছিl কারণ মাংশ খেলে আমার মনে হয় আমি বঙ্গবন্ধুর মাংশ চিবিয়ে খাচ্ছিl"জানিনা এখন আপনি মাংস খান কি নাl তবে আজ বাংলাদেশের রাজনীতিতে আপনার ভূমিকা দেখে প্রশ্ন আসতে পারে, আপনার পা কেন দুই নৌকায়? স্যার, মাংস খাওয়া কি আপনি আবার শুরু করেছেন?
লেখক: জুরি, স্টকহল্ম আপিল কোর্ট ও ইমিগ্রেশন কোর্ট