সাদিকুর রহমান ,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি : বাঙালি জাতির জীবনে চির অম্লান, চির স্মরণীয়, গর্ব আর অহংকারের দিনটি হচ্ছে ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। এই দিনটি ছিলো বলেই পৃথিবীর মানচিত্রে আমরা পেয়েছি বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন ভূখণ্ড। মুক্তিকামী বাঙালি তাদের বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে এ মাসেই ছিনিয়ে এনেছিলো আমাদের লাল-সবুজের পতাকা। বিজয়ের এই মাসকে স্মরণ করে দিতে দেশের সকল শ্রেনী পেশার মানুষের হাতে একটি করে লাল-সবুজের পতাকা পৌঁছে দিতে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুট বেড়াচ্ছেন লাল-সবুজের ফেরিওয়ালারা। বিজয়ের এই মাসে শহর থেকে গ্রামের প্রতিটি অলিতে-গলিতে, স্কুল ও কলেজের সামনে পতাকা বিক্রি করেন তারা।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ভানুগাছ বাজারসহ অন্যান্য এলাকায় ঘুরে দেখা যায় লাল সবুজের ফেরিওয়ালারা একটি বাঁশের সঙ্গে ছোট-বড় লাল-সবুজের পতাকা বেঁধে বিক্রয় করছেন। লাল-সবুজের ফেরিওয়ালাদের কাছ থেকে বিজয় দিবস উপলক্ষে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণীপেশার মানুষ পতাকা ও স্টিকার কিনছেন।
আলাপকালে পতাকা বিক্রি করতে আসা ফরিদপুরের লাল-সবুজের এক ফেরিওয়ালা ইউনুছ মিয়া জানান, বছরের অন্য মাসে সে মৌসুমী ব্যবসা করলেও এ মাসের জন্য লাল-সবুজের ফেরিওয়ালাই তার পরিচয়। ইউনুছের মতো লাল-সবুজের ফেরিওয়ালার পথচলায় বর্ণিল হয়ে ওঠেছে কমলগঞ্জের রাস্তা-ঘাট। মাইলের পর মাইল হেঁটে মানুষের হাতে হাতে আনন্দের সাথে জাতীয় পতাকা পৌঁছে দিচ্ছেন তারা।
এ যেনো আত্মার টান। শুধু ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকে ১৬ তারিখ পর্যন্ত চলবে এই লাল-সবুজের পতাকা বিক্রি করবে তারা।
এসময় পতাকা বিক্রেতা জাহিদ বলেন, আমরা শুধু লাভের জন্য নয়, দেশকে ভালোবেসেই পতাকা বিক্রয় করি। ডিসেম্বর মাস আসলেই আমি অন্য কাজ ছেড়ে দিয়ে ঢাকা থেকে বিভিন্ন মাপের পতাকা কিনে এনে আমার নিজ জেলা মৌলভীবাজারের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রয় করি। একেবারে ছোট পতাকা ১০ টাকা থেকে শুরু হয়ে মাপ অনুযায়ী ৩০, ৫০, ১০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হয়। ডিসেম্বরের ১৬ তারিখ পর্যন্ত পতাকা বিক্রয় করে আমার ১০-১৫ হাজার টাকা আয় হয়। সকল মানুষের হাতে একটি করে লাল-সবুজের পতাকা দিতে পারাই আমার স্বার্থকতা।সম্পাদনা:জেরিন মাশফিক