আসিফুজ্জামান পৃথিল: ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড আর ওয়েলস নিয়েই যুক্তরাজ্য।কিন্তু এই সংযুক্ত রাজ্যে সবসময়ই ইংল্যান্ডের প্রভাব বেশি।রাজনৈতিক আর অর্থনৈতিক মানচিত্রের আয়তন এক্ষেত্রে যেমন ভূমিকা রেখেছে, ভূমিকা রেখেছে রাজপরিবারের জাতিগত পরিচয়ও।কিন্তু ঐতিহ্যবাহী এই রাজতন্ত্র ভেঙে যাবার সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে।এর পেছনে প্রধান উপাদান আবারও নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের একগুয়েমি। দ্য কুইন্ট
ব্রিটিশ পার্লামেন্টে স্কটল্যান্ডের জন্য নির্ধারিত যে ৫৯টি আসন রয়েছে তার ৮১ শতাংশতেই সেখানকার প্রধান দল এসএনপি জিতেছে।এরপর আছে উত্তর আয়ারল্যান্ড। এই প্রথমবারের মত, জাতীয়তাবাদী দলগুলো, যুক্তরাজ্যের সঙ্গে থাকতে চায় এমন দলগুলোর থেকে বেশি আসন পেয়েছে। ইউরোপ ছাড়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন যে ব্রেক্সিট চুক্তি করেছেন, তাতে ইইউর সঙ্গে উত্তর আয়াল্যান্ডের সম্পর্কের যে রূপরেখা দেয়া হয়েছে তা যুক্তরাজ্যের অন্যান্য অংশের থেকে আলাদা। বরিস জনসন প্রধানমন্ত্রিত্ব গ্রহণের সময় নিজেকে বর্ণনা করেছেন অখণ্ডতার পক্ষের মন্ত্রী হিসাবে। এবং সেটা তিনি করেছেন সঙ্গত কারণেই অর্থাৎ ব্রিটেন ভেঙে যেতে পারে এমন আশংকা থেকেই। কাজেই ব্রিটেনকে একসঙ্গে রাখার চাপটা খুবই বাস্তব।
এসএনপি নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরই ঘোষণা করেছে, স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার জন্য তারা আরও একটি গণভোট চায়।এর আগে যে ভোটটি হয়েছিলো সেখানে মূলত অর্থনৈতিক নির্ভরতার কারণেই যুক্তরাজ্যের সঙ্গে থাকার মত দেন স্কটিশরা। ব্রেক্সিটের কারণে সে কারণ তিরোহিত হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।