সমীরণ রায়: আগামী ২০-২১ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলন।ইতোমধ্যে সম্মেলনকে সামনে রাখে সাবেক ছাতনেতারা দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন। প্রতিদিনই কেউ না কেউ গণভবনে ধর্ণা দিচ্ছেন। এছাড়া বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও ধানমণ্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সন্ধ্যার পর থেকে যাতায়ত করছেন তারা।যেহেতু কেন্দ্রীয় অনেক নেতাদের বিরুদ্ধে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। এ কারণেই সাবেক ছাত্রনেতারা আরও বেশি তৎপর রয়েছে।একই সঙ্গে দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও চান সাবেক ছাত্রনেতাদের সমন্বয়েই আওয়ামী লীগের আগামী কেন্দ্রীয় নতুন কমিটি ঢেলে সাজাতে।
জানা গেছে, সম্প্রতি ক্যাসিনো ব্যবসা, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজিসহ অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগের দায়ে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের কয়েকজন নেতারা কারাগারে।তাদের অনেকের সঙ্গেই আওয়ামী লীগের অনেক নেতাদেরই যোগাযোগ ছিল। শুধু যোগাযোগই নয়, এসব ব্যবসার ভাগও পেতেন অনেক সিনিয়র নেতা। ইতোমধ্যে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় বেশ কয়েকজন সিনিয়রের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে রয়েছে। সঙ্গত কারণে যেসব নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তাদের আগামী নতুন কমিটিতে রাখা হচ্ছে না। এসব স্থানগুলো পুরন করা হবে সাবেক ছাত্রনেতাদের মধ্য থেকে। যারা বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনে মাঠে সক্রিয় ছিলেন। একই সঙ্গে ১/১১-এর পর নেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তি আন্দোলনে যাদের ভূমিকা ছিলো, তারাই আগামী কিমিটিতে স্থান পাচ্ছেন।
আওয়ামী লীগের নতুন নেতৃত্বে আসতে পারেন এমন সাবেক ছাত্রনেতাদের মধ্যে রয়েছেন-ইসহাক আলী খান পান্না, নাহিম রাজ্জাক, বাহাদুর ব্যাপারী, লিয়াকত সিকদার, মাহমুদ হাসান রিপন, সৈয়দা জাকিয়া নূর, আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, সাইফুজ্জামান শিখর, নুরুল আমিন রুহুল, হারুনুর রশিদ, অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন, ওয়াসিকা আয়েশা খান, সুজাতা হক, সেলিনা হায়াৎ আইভী, সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ এ আরাফাত, মাঈনুদ্দিন হাসান চৌধুরী, এএইচএম বদিউজ্জামান সোহাগ, অজয় কর খোকন, মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, সুভাষ সিংহ রায়, গোলাম সারোয়ার কবির, আহমেদ ভূঁইয়া শিপু, সাদিকুর রহমান পরাগ, মেহের আফরোজ চুমকি, সাগুপ্তা ইয়াসমিন, জয়া সেনগুপ্তা, মাহবুব আরা গিনি, মাহজাবিন খালেদ, সানজিদা খানম, ফজিলাতুন্নেছা বাপ্পী, নূরজাহান বেগম মুক্তা।
আওয়ামী লীগের এক সভাপতির ম-লীর সদস্য লেফট্যানেন্ট কর্ণেল (অ.) ফারুক খান বলেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যেসব নেতাদের বিরুদ্ধে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত না থাকলেও যোগাযোগ ছিলো। তাদেরকে আগামী নেতৃত্বে না রাখার পক্ষে প্রধানমন্ত্রী। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক স্বদিচ্ছার ওপর সব কিছু নির্ভর করছে।