শিরোনাম
◈ মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইনের খসড়া আজ মন্ত্রিসভায় উঠছে ◈ গাজীপুরে কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণে চীনা নাগরিকের মৃত্যু ◈ প্রধানমন্ত্রীর সৌদি আরব ও গাম্বিয়া সফর বাতিল ◈ এ বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫.৭%: আইএমএফ ◈ ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জের দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ, ৪ পুলিশ সদস্যসহ আহত ২০ ◈ মার্চ মাসে সারাদেশে ৬২৪ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫৫০, আহত ৬৮৪  ◈ ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ককে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যেতে হবে: হর্ষবর্ধন শ্রিংলা ◈ অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ৯ সদস্য আটক ◈ পাকিস্তানের মুশতাক আহমেদ বাংলাদেশের নতুন স্পিন কোচ ◈ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কারিকুলাম যুগোপযোগী করার তাগিদ রাষ্ট্রপতির

প্রকাশিত : ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৯, ০৯:২৩ সকাল
আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৯, ০৯:২৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দুই মন্ত্রীর সফর বাতিলে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কি বদলে যাচ্ছে: আনন্দবাজার

ভারতে নাগরিক সংশোধনী বিল (সিএবি) নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ভারত সফর বাতিল করেছেন।

এ ঘটনার পর দুই দেশের সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার।

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, গোলাপি বল নিয়ে ভারতের কলকাতা শহরজুড়ে উন্মাদনার মধ্যেই ইডেনে পা রেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অথচ ‘পরম মিত্র’ বাংলাদেশের সেই প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানানোর কোনো তাগিদই দেখাননি বিজেপির শীর্ষ নেতা-মন্ত্রীরা। তাদের এমন ‘ব্যবহারে’ সেইসময়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছিল।

আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, প্রশ্ন উঠছে, নাগরিক সংশোধনী বিলের হয়ে সওয়াল করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা যেভাবে পড়শি দেশে অমুসলিমদের ওপর নিপীড়নের কথা বলে বেড়াচ্ছেন, তাতে দুই দেশের সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে না তো?

রাজনৈতিকদের এই আশঙ্কা অবশ্য নতুন নয়। নির্বাচনী প্রচারের সময় বিজেপি নেতারা যখন জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) তৈরি করে দেশ থেকে সমস্ত অনুপ্রবেশকারীদের তাড়ানোর কথা বলছিলেন, সেইসময় বাংলাদেশের তরফেই প্রথম উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যোগ দিতে গিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। সেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী বছর মার্চে মোদিকে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানান তিনি। আর সেখানেই আলোচনার ফাঁকে মোদির সামনে এনআরসি প্রসঙ্গ পেড়ে ফেলেন হাসিনা। এত খ্যক মানুষকে ফেরত পাঠালে কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেবেন, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। সে সময় তাকে আশ্বস্ত করেছিলেন মোদি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কিন্তু তার মধ্যেই ১ অক্টোবর বাংলার একটি মঞ্চে দাঁড়িয়ে জ্বালাময়ী ভাষণ দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, ‘‘সারা দেশেই এনআরসি হবে। তার আগে সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ করাবে সরকার। তার আওতায় মতুয়াসহ ধর্মীয় কারণে পড়শি দেশ থেকে নিপীড়িত হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন এবং খ্রিস্টানদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।’’ তার ঠিক পরেই দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন শেখ হাসিনা। সেখানে ফের একবার এনআরসি প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন তিনি। সেইসময় তাকে আশ্বস্ত করার বদলে মোদি জানান, শীর্ষ আদালতের নির্দেশে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কীভাবে তা আগায় দেখা যাক।

‘বুধবার রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হওয়ার পর বৃহস্পতিবার দুপুরেই প্রশাসনিক কারণ দেখিয়ে ভারত সফর বাতিল করেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী (পররাষ্ট্রমন্ত্রী)। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ভারত সফর বাতিল করেন সে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালও। তাতেই দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে।’

আনন্দবাজার আরো জানায়, তবে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করলে, তা ভারতের পক্ষে শুভ হবে না বলে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারকে সতর্ক করেছেন প্রাক্তন বিদেশসচিব এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশঙ্কর মেনন। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের সম্পর্কে অমিত শাহের মন্তব্য টেনে সম্প্রতি একটি বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘‘ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ভূমিকা অনস্বীকার্য। কিন্তু সে দেশ থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীদের উইপোকা বলে উল্লেখ করলে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উপর তা খুব একটা ইতিবাচক প্রভাব ফেলে না।’’

তারা জানায়, এ ব্যাপারে একমত ঢাকায় ভারতের প্রাক্তন হাইকমিশনার বীণা সিকরিও। তার মতে, পড়শি দেশে যে অমুসলিমদের ওপর নিপীড়ণের ব্যাখ্যা করা হচ্ছে, তা হয়তো খালেদা জিয়ার আমলে বেশ কিছু রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে তৈরি। এখন তা নিয়ে কথা বলে খামোকা দুই দেশের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির তৈরি হচ্ছে। অবিলম্বে তা দূর হওয়া উচিত।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়