শিরোনাম
◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ ভেটোর তীব্র নিন্দা,মার্কিন নীতি আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লংঘন : ফিলিস্তিন ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক

প্রকাশিত : ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:৪৯ দুপুর
আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:৪৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পাকিস্তানে ইমরানের শাসনামলে ৮ কোটি ৭০ লাখ মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে চলে গেছে

রাশিদ রিয়াজ : পাকিস্তানের পথিকৃত অর্থনীতিবিদ ড. হাফিজ পাশা শঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন আগামী বছরের জুন নাগাদ দেশটিতে দারিদ্রের হার ৪০ শতাংশে পৌঁছে যাবে। এরকারণ হিসেবে তিনি নি¤œহারের প্রবৃদ্ধি ও ডাবল ডিজিটের খাদ্য স্ফীতিকেই দায়ী করেছেন। তার মতে ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফ ক্ষমতায় আসার পর এ বছরেই ৮০ লাখ মানুষ ইতিমধ্যে দারিদ্র সীমার নীচে চলে গেছে। চলতি অর্থবছর শেষে আরো ১ কোটি মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে চলে যাবে। ২০ কোটি ৭০ লাখ মানুষের দেশে ৮ কোটি ৭০ লাখ মানুষ ইমরান খানের শাসনামলে দারিদ্র সীমার নিচে চলে গিয়েছে।
আমদানি সংকোচ নীতির কারণে পাকিস্তানের বাণিজ্য ঘাটতি আরো বাড়ছে এবং একই সঙ্গে রফতানি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হচ্ছে না। দেশটির পরিসংখ্যান ব্যুরো বলছে রফতানির হার কমে গেছে ৫ শতাংশ। প্রতি মাসে রফতানির পরিমান আড়াইশ কোটি ডলারে তুলতে না পারলে পাকিস্তানের অর্থনীতিতে রফতানি সূচকে ইতিবাচক কোনো পরিবর্তন আসবে না। বর্তমানে পাকিস্তানের রফতানি প্রতিমাসে দাঁড়িয়েছে ১০৯ কোটি ডলার। অথচ চলতি অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে দেশটির রফতানি আয় ছিল ১৪৫০ কোটি ডলার। একই সময়ে আমদানি কমেছে ১৮.৪ শতাংশ যা আর্থিক মূলে দাঁড়িয়েছে ১৯.২ বিলিয়ন ডলার। গত ৫ মাসে পাকিস্তানের রফতানির পরিমাণ বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ৩৫ শতাংশ পূরণ করেছে মাত্র। রফতানির বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ২৬৮০ কোটি ডলার। একই সঙ্গে আমদানির লক্ষ্যমাত্রার ৩৭ ভাগ পূরণ হয়েছে এবং এক্ষেত্রে বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৫১৮০ কোটি ডলার। এক্স্রপ্রেস ট্রিবিউন

পাকিস্তানের অর্থনীতিতে দীর্ঘদিনের সংকট হচ্ছে ডলারের তুলনায় রুপির অবমূল্যায়ন, রফতানি ও আমাদানি ঊভয়ই হ্রাস, মুদ্রাস্ফীতি এবং ব্যবসা-বিনিয়োগের খরচ বৃদ্ধি। রফতানিতে নতুন বৈচিত্র আনতে না পারা এবং উৎপাদন খরচ অতিরিক্ত হওয়াও আরেক দুশ্চিন্তার বিষয়। চীনে বছরে ১শ কোটি ডলারের রফতানির লক্ষ্যমাত্রা দেশটি গত ৮ মাসে পূরণ করতে পারেনি। বরং চীনে রফতানি কমেছে দেড় শতাংশ ফলে আয় কমেছে এখাতে ৫৮ কোটি ডলার।

এ অবস্থায় এশিয় উন্নয়ন ব্যাংক বলছে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ২.৮ শতাংশেই স্থির থাকবে। এডিবি একই সঙ্গে বলছে ভারতের প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়াচ্ছে ৫.১ শতাংশ। অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার অভাবকেই পাকিস্তানের প্রধান সংকট বলে মনে করছে এডিবি। সেদিক থেকে দক্ষিণ এশিয়ার ৮টি দেশের মধ্যে পাকিস্তানের প্রবৃদ্ধি হচ্ছে সবচেয়ে কম। পাকিস্তানের সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক পূর্বাভাস দিয়ে বলেছিল প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে সাড়ে ৩ শতাংশ। কিন্তু মুদ্রাস্ফীতির গড় মাত্রা ১০.১ শতাংশ হওয়ায় প্রবৃদ্ধির চাকা আর ঘুরতে পারেনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়