শিরোনাম
◈ জুলাই অভ্যুত্থানের সেই ঐক্য কোথায়? ◈ ব্রিটিশদের ‘নাকানিচুবানি’ দিতে ইরানের এক দশকের ‘ছায়া যুদ্ধ’: যেভাবে চলছে যুক্তরাজ্যের ভেতরে গোপন তৎপরতা ◈ চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার জাকির হোসেন বরখাস্ত, আরও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা ◈ এবার অঝোরে কাঁদলেন মিসাইল ম্যান কিম জং উন (ভিডিও) ◈ জুলাই নিয়ে ‘আপত্তিকর’ ফেসবুক পোস্ট: পুলিশের বিরুদ্ধে ছাত্রদের অবরোধ-বিক্ষোভ ◈ নতুন উচ্চতায় রেমিট্যান্স: ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবাসী আয়ের সর্বোচ্চ প্রবাহ ◈ ডলারের দরপতনে রেকর্ড, ১৯৭৩ সালের পর সবচেয়ে বড় পতনে বিশ্ববাজারে আস্থার সংকট ◈ “৭১-এর মুক্তিযোদ্ধাদের মতোই চব্বিশের যোদ্ধাদেরও জাতি ভুলবে না” — তারেক রহমান ◈ গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান খালেদা জিয়ার ◈ শ্রীলঙ্কার বিরু‌দ্ধে বুধবার  সি‌রি‌জের প্রথম ওয়ানডে ম‌্যা‌চে  মু‌খোমু‌খি  বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:৪৯ দুপুর
আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:৪৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পাকিস্তানে ইমরানের শাসনামলে ৮ কোটি ৭০ লাখ মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে চলে গেছে

রাশিদ রিয়াজ : পাকিস্তানের পথিকৃত অর্থনীতিবিদ ড. হাফিজ পাশা শঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন আগামী বছরের জুন নাগাদ দেশটিতে দারিদ্রের হার ৪০ শতাংশে পৌঁছে যাবে। এরকারণ হিসেবে তিনি নি¤œহারের প্রবৃদ্ধি ও ডাবল ডিজিটের খাদ্য স্ফীতিকেই দায়ী করেছেন। তার মতে ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফ ক্ষমতায় আসার পর এ বছরেই ৮০ লাখ মানুষ ইতিমধ্যে দারিদ্র সীমার নীচে চলে গেছে। চলতি অর্থবছর শেষে আরো ১ কোটি মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে চলে যাবে। ২০ কোটি ৭০ লাখ মানুষের দেশে ৮ কোটি ৭০ লাখ মানুষ ইমরান খানের শাসনামলে দারিদ্র সীমার নিচে চলে গিয়েছে।
আমদানি সংকোচ নীতির কারণে পাকিস্তানের বাণিজ্য ঘাটতি আরো বাড়ছে এবং একই সঙ্গে রফতানি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হচ্ছে না। দেশটির পরিসংখ্যান ব্যুরো বলছে রফতানির হার কমে গেছে ৫ শতাংশ। প্রতি মাসে রফতানির পরিমান আড়াইশ কোটি ডলারে তুলতে না পারলে পাকিস্তানের অর্থনীতিতে রফতানি সূচকে ইতিবাচক কোনো পরিবর্তন আসবে না। বর্তমানে পাকিস্তানের রফতানি প্রতিমাসে দাঁড়িয়েছে ১০৯ কোটি ডলার। অথচ চলতি অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে দেশটির রফতানি আয় ছিল ১৪৫০ কোটি ডলার। একই সময়ে আমদানি কমেছে ১৮.৪ শতাংশ যা আর্থিক মূলে দাঁড়িয়েছে ১৯.২ বিলিয়ন ডলার। গত ৫ মাসে পাকিস্তানের রফতানির পরিমাণ বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ৩৫ শতাংশ পূরণ করেছে মাত্র। রফতানির বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ২৬৮০ কোটি ডলার। একই সঙ্গে আমদানির লক্ষ্যমাত্রার ৩৭ ভাগ পূরণ হয়েছে এবং এক্ষেত্রে বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৫১৮০ কোটি ডলার। এক্স্রপ্রেস ট্রিবিউন

পাকিস্তানের অর্থনীতিতে দীর্ঘদিনের সংকট হচ্ছে ডলারের তুলনায় রুপির অবমূল্যায়ন, রফতানি ও আমাদানি ঊভয়ই হ্রাস, মুদ্রাস্ফীতি এবং ব্যবসা-বিনিয়োগের খরচ বৃদ্ধি। রফতানিতে নতুন বৈচিত্র আনতে না পারা এবং উৎপাদন খরচ অতিরিক্ত হওয়াও আরেক দুশ্চিন্তার বিষয়। চীনে বছরে ১শ কোটি ডলারের রফতানির লক্ষ্যমাত্রা দেশটি গত ৮ মাসে পূরণ করতে পারেনি। বরং চীনে রফতানি কমেছে দেড় শতাংশ ফলে আয় কমেছে এখাতে ৫৮ কোটি ডলার।

এ অবস্থায় এশিয় উন্নয়ন ব্যাংক বলছে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ২.৮ শতাংশেই স্থির থাকবে। এডিবি একই সঙ্গে বলছে ভারতের প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়াচ্ছে ৫.১ শতাংশ। অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার অভাবকেই পাকিস্তানের প্রধান সংকট বলে মনে করছে এডিবি। সেদিক থেকে দক্ষিণ এশিয়ার ৮টি দেশের মধ্যে পাকিস্তানের প্রবৃদ্ধি হচ্ছে সবচেয়ে কম। পাকিস্তানের সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক পূর্বাভাস দিয়ে বলেছিল প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে সাড়ে ৩ শতাংশ। কিন্তু মুদ্রাস্ফীতির গড় মাত্রা ১০.১ শতাংশ হওয়ায় প্রবৃদ্ধির চাকা আর ঘুরতে পারেনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়