সুজন কৈরী : স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, কারখানা নিয়মকানুন মেনে কাজ করে না। অগ্নি নির্বাপনের ব্যবস্থা নেই। মালিকের উদাসীনতাই এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকালের দিকে কেরানীগঞ্জের দগ্ধদের দেখে বের হয়ে এসব কথা বলেন তিনি । বেলা পৌনে ১১টার দিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ঢামেকে আসেন। সোয়া ১১টার দিকে তিনি দগ্ধদের দেখে ।
মন্ত্রী বলেন, ঘটনা খুব দুঃখ জনক। কেরানীগঞ্জের ঘটনায় যে রোগী গুলো হাসপাতালে এসেছে, সব গুলোর অবস্থা খারাপ। হাসপাতালের চিকিৎসক নার্স’সহ স্টাফরা অনেক কষ্ট করেছেন। এখনো যারা ভর্তি আছে এদের অবস্থা খারাপ। প্রধানমন্ত্রী সার্বক্ষণিক খবর রাখছেন। সরকারী করচে চিকিৎসার নির্দেশনা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, অনেক কারখানা আছে যারা নিয়মকানুন মেনে কাজ করে না। অনেক জায়গায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঢুকতে পারে না। এ বিষয়ে মালিকদের সতর্ক থাকতে হবে। তাদের উদাসীনতাই আজ এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আজ যেখানে আগুন লেগেছে, সেখানে নিশ্চয় আগুন নেভানোর সরঞ্জাম ছিলো না। পুরান ঢাকার কয়েক জায়গায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ জন্য সরকার তাদের জন্য বড় জায়গা করে রেখেছে। পুরান ঢাকার ক্যামিকেল গোডাউনগুলো সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে। সব কারকানায় ফায়র সেফটি রাখতে হবে। দুর্জয় নামে একজন রোগী ছিলো। নিজ ইচ্ছায় তাকে বাসায় নিয়ে গেছে।
বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, যে গুলো রোগী এসেছে সবগুলোই মেজর। বদ্ধ করে আগুন লাগলে যে অবস্থা হয়। এই আগুনটাই এই রকম ছিলো। এ পর্যন্ত বার্ন ইউনিটে ১০জন রোগী মারা গেছে। ভর্তি আছে ২১ জন। পুরান বার্ন ইউনিট থেকে ১১ জনকে নতুন শেখ হাসিনা ন্যাশনাল প্লাস্টিক সার্জারী ইনষ্টিটিউটে নেয়া হয়েছে।