শিরোনাম
◈ জুলাই অভ্যুত্থানের সেই ঐক্য কোথায়? ◈ ব্রিটিশদের ‘নাকানিচুবানি’ দিতে ইরানের এক দশকের ‘ছায়া যুদ্ধ’: যেভাবে চলছে যুক্তরাজ্যের ভেতরে গোপন তৎপরতা ◈ চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার জাকির হোসেন বরখাস্ত, আরও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা ◈ এবার অঝোরে কাঁদলেন মিসাইল ম্যান কিম জং উন (ভিডিও) ◈ জুলাই নিয়ে ‘আপত্তিকর’ ফেসবুক পোস্ট: পুলিশের বিরুদ্ধে ছাত্রদের অবরোধ-বিক্ষোভ ◈ নতুন উচ্চতায় রেমিট্যান্স: ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবাসী আয়ের সর্বোচ্চ প্রবাহ ◈ ডলারের দরপতনে রেকর্ড, ১৯৭৩ সালের পর সবচেয়ে বড় পতনে বিশ্ববাজারে আস্থার সংকট ◈ “৭১-এর মুক্তিযোদ্ধাদের মতোই চব্বিশের যোদ্ধাদেরও জাতি ভুলবে না” — তারেক রহমান ◈ গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান খালেদা জিয়ার ◈ শ্রীলঙ্কার বিরু‌দ্ধে বুধবার  সি‌রি‌জের প্রথম ওয়ানডে ম‌্যা‌চে  মু‌খোমু‌খি  বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ১২ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:২১ দুপুর
আপডেট : ১২ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:২১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গ্রেপ্তার আতঙ্ক, চেয়ারপার্সনের জামিন না হলেও বড় আন্দোলনে ভয় বিএনপির  

মাজহারুল ইসলাম : দলের কিছু নেতাদের ধারণা তাদের উত্তপ্ত নেতাকর্মীদের থামাতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সরকার খালেদা জিয়াকে জামিন দেবে। আবার কোনো কোনো নেতা মনে করেন, নেতাকর্মীদের মনোভাব দেখতে আজ আদেশ না দিয়ে তা অপেক্ষমানও রাখা হতে পারে। এ অবস্থায় বিএনপি আপিল বিভাগের আদেশের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। আদালত খালেদা জিয়াকে জামিন না দিলে বা আদেশ অপেক্ষমান রাখলে সরকারকে দায়ী করে বিক্ষোভসহ শান্তিপূর্ণ গতানুগতিক কর্মসূচি দেয়া হবে। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা সরকার পতনের এক দফার আন্দোলন চাইলেও সিনিয়র নেতারা গ্রেপ্তার ভয়ে আপাতত বড় আন্দোলনে যেতে যাচ্ছেন না বলে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের অভিযোগ।

দলের নেতারা জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলটির বেশিরভাগ নেতাই মনে করেন সরকারকে রাজনৈতিকভাবে চাপে ফেলতে না পারলে খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে না। এজন্য এ ইস্যুতে রাজপথেও আন্দোলন জোরদার করতে হবে। সম্প্রতি স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি কর্মসূচি নিয়ে রাজপথেও থাকার বিষয়ে আলোচনা হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত রোববার ও মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। ঢাকায় কোথাও কোথাও কর্মসূচি পালিত হলেও কেন্দ্রীয় বা মহানগরের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের তাতে দেখা যায়নি। এ নিয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানও ক্ষুব্ধ।

বিএনপির একটি সূত্র জানায়, সম্প্রতি এক নেতা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি ইস্যুতে কোনো নির্দেশনা আছে কিনা। জবাবে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আপনারা একটি মিছিল ১০০ জন নিয়ে শুরু করেন, শেষ পর্যন্ত ১০/১২ জনের বেশি থাকে না। বিএনপির একাধিক নেতা বলেন, দল ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের শীর্ষপর্যায়ের নেতাদের আন্দোলনের প্রতি আগ্রহ নেই বলেই কর্মসূচি সফল হয় না। যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল, তাঁতী দল, শ্রমিক দল ও মৎস্যজীবী দলের নেতারা শুধু কড়া বক্তব্য দেয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। সিনিয়র কিছু নেতা সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনের ডাক দিলেও অনেকেই এর বিপক্ষে।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, লন্ডন থেকে তারেক রহমান কেন্দ্রীয় ও তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে কথা বলছেন। তাদের মতামত নিচ্ছেন। তারা সবাই সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনে মত দিয়েছেন। যদিও সরকারের সঙ্গে এখনই কোনো সংঘাতে যেতে চায় না বিএনপি। গত মঙ্গলবার দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যেও তা স্পষ্ট।

তিনি বলেন, মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আমরা র‌্যালি করার ঘোষণা দিয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ তা করতে দেয়নি। আমরা এই মুহূর্তে কোনো সংঘাতে জড়াতে চাই না। যদিও সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল ঘোষণা দিয়েছিলেন, এখন থেকে কোনো কর্মসূচি করতে প্রশাসনের অনুমতি নেবে না বিএনপি। এরপরই জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের ব্যানারে হঠাৎ সুপ্রিমকোর্টের সামনের সড়কে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের নেতৃত্বে হাজারো নেতাকর্মী অবস্থান নেয়। ওই ঘটনায় মির্জা ফখরুলসহ ৫ শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা দেয় পুলিশ। মনে করা হচ্ছে, এর পরই বিএনপি অবস্থান পাল্টায়। সম্পাদনা : ইয়াসিন আরাফাত

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়