দেবদুলাল মুন্না: বাংলাদেশের কথাসাহিত্যিক মশিউল আলম ‘হিমাল শর্ট স্টোরি কমপিটিশন ২০১৯’ পুরস্কার পেলেন। হিমালের ওয়েবসাইট থেকে এই তথ্য জানা যায়। ‘মিল্ক’ শিরোনামে গল্পের জন্য মশিউল আলমকে এই পুরস্কার দেয়া হয়। গল্পটি বাংলা থেকে অনুবাদ করেছেন শবনম নাদিয়া। কলম্বোভিত্তিক দক্ষিণ এশিয়া কেন্দ্রিক রিভিউ ম্যাগাজিন হিমাল সাউথ এশিয়ান প্রতি বছর আয়োজন করে থাকে ‘হিমাল শর্ট স্টোরি কম্পিটিশন’। খুব শিগগিরই দেওয়া হবে সংবর্ধনা।
এছাড়া পুরস্কারের সম্মানি হিসেবে নির্বাচিত গল্পের জন্য দেয়া হবে ৫০০ মার্কিন ডলার। যা সমানভাবে লেখক ও অনুবাদককে ভাগ করে দেয়া হবে। হিমাল কর্তৃপক্ষ জানায়, নির্বাচিত এই এক ডজন গল্প নিয়ে ২০২০ সালের প্রথম দিকে একটি বই প্রকাশ করবে ।
হিমালের ওয়েবসাইটে বলা হয় ‘গল্পটি আমাদের একটি কল্পনার রাজ্যে নিয়ে যায়, সৃষ্টি করে নিজস্ব জগৎ। মানুষ, প্রাণী মিলিয়ে নানাভাবে জীবনকে দেখা যায় গল্পটিতে। একটি সামাজিক, প্রাকৃতিক এবং অতিপ্রাকৃতিক জগৎ উঠে আসে যাতে। এমন সহজবোধ্যভাবে গল্পটি বলা হয়েছে এবং এত সুন্দর করে এর অনুবাদ করা হয়েছে যা আমাদের মুগ্ধ করেছে।’ এর আগে পুরস্কারের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকায় ১২টি গল্প স্থান পায়। যার মধ্যে নির্বাচিত হয় মশিউল আলমের গল্পটি। সংক্ষিপ্ত তালিকার অন্য লেখকেরা হলেন দূর ই আজিজ আমনা, শিবানী কামাল ভাসিন, প্রণজা এসজেবি রানা, পৃথ্বী পুধাইয়ারকার, ঝিনুক সেন, আনিকা খান, লিন্ডসে পেরেইরা, রোশনি সেনগুপ্ত, সঙ্গীতা ভাস্কর, প্রিয়াঙ্কা মাশেলকার ও ঋদ্ধি দস্তিদার। পুরস্কারপ্রাপ্ত মশিউল আরমের জন্ম ১৯৬৬ সালে, জয়পুরহাটে। মস্কোর পাত্রিস লুমুম্বা গণমৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পর দেশে ফিরে সাংবাদিকতা শুরু করেন। তার লেখালিখির শুরু ৮০ দশকের মাঝামাঝিতে গল্প দিয়ে।
১৯৯৪ সালে প্রকাশিত প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘রূপালি রুই ও অন্যান্য গল্প’। প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস ‘আমি শুধু মেয়েটিকে বাঁচাতে চেয়েছি’ প্রকাশিত হয় হয় ১৯৯৯ সালে। এছাড়া তার উল্লেখযোগ্য বই হচ্ছে মাংসের কারবার, তনুশ্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় রাত, প্রিসিলা, ঘোড়ামাসুদ, দ্বিতীয় খুনের কাহিনি, ও যেভাবে নাই হয়ে গেলাম।