কামরুল হাসান মামুন : চালের দাম বাড়ায় আমরা খুশি: কৃষিমন্ত্রী। কেন, বাড়তি লাভটা কি কৃষকরা পায়? এটা মধ্যস্বত্বভোগীদের গোলায় যায় আর মধ্যমেধার নেতারা জাস্টিফাই করে দেশটারে এইভাবে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করছে। এখন মধ্যম আয়ের দেশ হওয়াতে কি ট্রাক থেকে পেঁয়াজ কেনার লাইন একটুও কমছে? আগে তৃতীয় বিশ্বের দেশ যখন ছিলাম অনলাইন পে-জার্নালে গবেষণাপত্র প্রকাশ করার জন্য একটি টাকাও দিতে হতো না। এখন সেটাও ফ্রি না। ২০০২ তে যখন দেশে ফিরি তখন এক লিটার দুধের দাম যা ছিলো এখন সেটা ২.৫ গুণ বেড়েছে। হ্যাঁ, আমাদের বেতন বেড়েছে।
২০১৫ তে নতুন বেতন স্ক্যালের মাধ্যমে আমাদের বেতন অনেক বেড়েছে। কিন্তু তারপর থেকে দ্রব্যমূল্য বাড়তে থাকায় বেতন কমতেই থাকে। অর্থাৎ সরকার কাগজ ছাপায় আর বেতন বাড়ায় তাতে অতিরিক্ত কাগজ ছাপানোতে কেবল পরিবেশ দূষণই বাড়ছে, আমাদের জীবনমান বাড়ছে না।
একজন মন্ত্রী কি করে বলেন যে চালের দাম বাড়ায় আমরা খুশি? কৃষিমন্ত্রী কি জানেন না এই বাড়তি টাকাটা কার পকেটে যাবে? খুব ভালো করে জানেন? আসলে তারা দেশের মানুষকে বলদ হিসেবে বিবেচনা করেন। দেশের মানুষও তাদের এসব কথা খেয়ে তাদের বলদামির পরিচয় দেয় বলেই তারা পাবলিককে বলদ ভেবে পার পেয়ে যায়।
এজন্যই তারা শিক্ষায় ব্যয় বাড়াতে ও শিক্ষার উন্নতিতে মনোনিবেশ করতে চায় না। শিক্ষায় উন্নতি মানে পাবলিককে আর বলদ হিসাবে castrated করা যাবে না। বরং শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের এখন দলান্ধ বানানো হয়। দলান্ধ করা মানে পধংঃৎধঃবফ করা। অর্থাৎ ষাঁড় থেকে বলদে রূপান্তরিত করা। যারা যতো বেশিবার ক্ষমতায় যায় তারা ততোবেশি এর সুফল বুঝতে সক্ষম হচ্ছে। দেশটা এখন এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে যে এক শ্রেণির so-called castrated বুদ্ধিজীবী তৈরি হয়েছে যারা কেবল সরকারের সব কাজের প্রশংসাই করতে জানে। সরকার যা বলবে, তাতেই তারা মারহাবা মারহাবা বলবে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :