মুনশি জাকির হোসেন : ধর্মমত/পারলৌকিক ধারণাকে আউট বক্স করলে যেটিকে কেন্দ্র করে সব কিছু আবর্তিত হচ্ছে সেটি হচ্ছে পলিটিক্যাল ইকোনমি। আধুনিক রাষ্ট্র ধারণার আগে থেকেই এটিকে কেন্দ্র করেই রাজা, রাজ্য, সমাজ, রাষ্ট্র, সরকারের অস্তিত্ব অনুভূত হয়ে আসছে। যেটিকে আমরা হেজিমনি/আধিপত্যবাদ বলি।
যে জনপদে এই মহাগুরুত্বপূর্ণ সেক্টরে দুরদৃষ্টিসম্পন্ন, দৃঢ় চারিত্রিক, সৃজনশীল, সৃষ্টিশীল মানুষ সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় আসতে পেরেছে সেই জনপদই বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। আবার এই সেক্টরে যদি রবার্ট মুগাবে, ইদি আমিন, পাকিস্তানি মিলিটারি স্টাইল আধিপত্য কায়েম করে তাহলে সেখানে নরক অনিবার্য।
বাংলাদেশের তৎকালীন পলিটিক্যাল ইকোনমিকে কেন্দ্র করেই বঙ্গবন্ধু শোষণ, বঞ্চনা, বৈষম্যের দলিল সামনে এনে জনগণকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছিলেন এই অশুভ চক্রের বৃত্ত থেকে বের হওয়া কেন জরুরি। এই দেশের ৫০ বছরপূর্তিতে এই দেশের পলিটিক্যাল ইকোনমিতে একক সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা শেখ হাসিনা অর্জন করেছে নিজ যোগ্যতায়। এখানে শেখ হাসিনার জন্য বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ? নাকি বাংলাদেশের জন্য শেখ হাসিনা গুরুত্বপূর্ণ সেই প্রশ্ন আপনি নিজের সুস্থ মস্তিষ্ককে করুন, জবাব পাবেন। এসব ডিসকোর্স মানসিকভাবে অসুস্থ লোকের জন্য নয়, সে যতো (তথা কথিত) শিক্ষিতই হোক। যারা একবার জামায়াত-শিবির করেছে তাদের আর মানসিকভাবে সুস্থ হওয়ার লক্ষণ নেই, তারা কর্নওয়ালিসের চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের মতো নিজ মস্তিষ্ক মওদুদীবাদের নিকট বর্গা দিয়েছে এবং তারা বাতিল। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :