আমিন মুনশি : পশুর মধ্যে শুধুমাত্র তৃণভোজী পশু খাওয়ার অনুমোদন রয়েছে। মানুষ যা আহার করে সেটার প্রতিক্রিয়া তার আচরণে প্রকাশ পায়। বাঘ, সিংহ, নেকড়ে ইত্যাদি হিংস্র মাংসাশী প্রাণী খাওয়া ইসলাম নিষিদ্ধ করেছে- এটি তার অন্যতম একটি কারণ। সে কারণে ইসলাম শুধুমাত্র গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়ার মতো শান্ত ও খুব সহজে পোষমানা প্রাণীর মাংস খেতে অনুমতি দেয়। বস্তুত এ কারণেই মুসলমানরা শান্তিকামী এবং শান্তিপ্রিয়। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘রাসূল (সা.) তোমাদেরকে যা কিছু দেন তা তোমরা গ্রহণ করো। আর যেসব থেকে নিষেধ করেন, সেসব থেকে বিরত থাকো।’ (৫৯-৭)
সহীহ বুখারী ও মুসলিমে বর্ণিত বেশ কিছু সর্বসম্মত হাদিসের মধ্যে ইবনে আব্বাস (রা) বর্ণিত মুলিম শরীফের ‘শিকার ও জবাই’ অধ্যায়ের ৪৭৫ নং হাদীসে, সুনানে ইবনে মাজাহ ১৩ অধ্যায়ের ৩২৩২ থেকে ৩২৩৪ হাদীসসমূহ উল্লেখযোগ্য। রাসূল (সা.) খেতে নিষেধ করেছেন- ১. তীক্ষ্ণ ধারালো দাঁতওয়ালা হিংস্র জন্তু। অর্থাৎ মাংসাশী বন্য পশু প্রধানত বেড়াল ও কুকুর জাতীয় বাঘ, সিংহ, বেড়াল এবং শেয়াল, কুকুর, নেকড়ে, হায়না ইত্যাদি। ২. তীক্ষ্ণ দন্তের অন্যান্য প্রাণী যেমন ইঁদুর, ন্যাংটি ইদুর, ছুঁচো ও ধারালো নখওয়ালা খরগোশ ইত্যাদি।
৩. সরিসৃপ জাতীয় অন্যান্য প্রাণী যেমন সাপ, কুমির ইত্যাদি। ৪. ধারালো ঠোঁট ও নখরওয়ালা শিকারী পাখি যেমন চিল, শুকুন, কাক, পেঁচা ইত্যাদি। সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পারে এমন কোনো বৈজ্ঞানিক দলিল নেই যে, আমিষ খাদ্য গ্রহণের ফলে মানুষ উগ্র ও হিংস্র হয়ে উঠতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :