রাশিদ রিয়াজ : ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে তেহরানের উপরে নিষেধাজ্ঞা ও সর্বোচ্চ চাপ সৃষ্টির নীতি পরিত্যাগ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে চীন। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনইং সোমবার নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, আমরা বিশ্বাস করি যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের কারণে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে চলমান এই উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের উচিত ভুল পদ্ধতি বাদ দেয়া এবং এই ধরনের একতরফা নিষেধাজ্ঞা ও সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতি পরিহার করা।
হুয়া চুনইং সংবাদ ব্রিফিংয়ে আরো বলেন, যেসব দেশ ২০১৫ সালে সই হওয়া পরমাণু সমঝোতা অনুসরণ করছে তাদের উচিত এ সমঝোতা কার্যকর ও পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করা। তিনি আশা করেন, পরমাণু সমঝোতার সব পক্ষ শিগগিরই এ বিষয়ে বৈঠকে বসবে এবং ইরানের পরমাণু পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করবে। হুয়া চুনইং জানান, চলমান উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা এবং উত্তেজনা নিরসনে চীন তার যৌথ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
এদিকে ইরানের কাছ থেকে চীন অব্যাহতভাবে তেল কেনার কারণে মার্কিন জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ড্যান ব্রুলেট বিষয়টিতে গভীর দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, চীনের এ পদক্ষেপ অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র চেষ্টা করছে ইরানের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তার তেল রপ্তানি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে কিন্তু চীন সরকার ও দেশটির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ইরান থেকে তেল কেনা অব্যাহত রেখে সে প্রচেষ্টা বানচাল করছে। তিনি বলেন, খুব শিগগিরই চীনা কর্মকর্তাদের কাছে বিষয়টি তুলে ধরবে তার দেশ। গত বছরের নভেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তেল রপ্তানির ওপর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এবং চলতি বছরের মে মাসে তা কঠোর করা হয়। তারপরেও ইরান এবং চীনের মধ্যে তেল বাণিজ্য অব্যাহত রয়েছে। এর মধ্যদিয়ে চীন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলেছে বলে বলে মনে করা হচ্ছে।
ইরান এবং চীন হচ্ছে দীর্ঘদিনের মিত্র দেশ এবং দু'দেশের মধ্যে বহুদিন থেকে বাণিজ্য চলে আসছে। ইরানি তেলের সবচেয়ে বড় অংশ চীনেই রপ্তানি করা হয়। ইরানের বিরুদ্ধে আমেরিকা নিষেধাজ্ঞার দিয়ে রেখেছে। চীন বহুবার এর সমালোচনা করে বলেছে, একতরফা এসব নিষেধাজ্ঞা আমেরিকার নিজস্ব ব্যাপার; অন্য কোনো দেশের তা মানা উচিত নয়। পার্সটুডে