ড. আসিফ নজরুল : আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ একদিক দিয়ে সার্থক। লেখা লিখবেন আর কোন তর্ক-বিতর্ক বা আলোচনা হবে না, এর মধ্যে দিয়ে আমাদের চিন্তা আর মনন একটুও আন্দোলিত হবে না- এমন লেখার চেয়ে সায়ীদ স্যারের লেখার সার্থকতা বেশি। আমি ভাবি এমন গভীর পড়াশোনা, নিজম্ব বিশ্লেষণ আর অকপট উচ্চারণ যার আছে তিনি একটু দুঃশাসন আর মানুষের দুরাবস্থা নিয়ে লিখেন না কেন? রবীন্দ্রনাথ-নজরুলদের মতো নিখাদ সাহিত্যিকরা পারলে আমাদের আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ আর অধ্যাপক আনিসুজ্জামানা স্যাররা পারেন না কেন? আগে তো দেখতাম পারতেন, একটু আধটু হলেও।
নির্বাচিত মন্তব্য : রাকিব হাসান- প্রিয় স্যার,এইবার যেহেতু ভোটচোরদের কে এহেন কবি সাহিত্যকরা সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন ভবিষ্যতের প্রতিবাদের ভাষাটা এরাই গলাটিপে হত্যা করে গেল।একজন আবদুল্লাহ আবু সাইদ প্রতিবাদী হয়ে ওঠলে যতটা নাড়া পরতো আমার মতো সাধারণকে তো আল্লাহ সেই অবস্থান দেন নি।ইহকালের জন্য এহেন কবি,সাহিত্যেক,সাংবাদিকের জন্য -ওয়াক থু।পরিকালেরটা সৃষ্টিকর্তার কাছে ছেড়ে দিলাম। ২. রফিকু ইসলাম বিন স্যার, আনিছুল হক স্যার তো শাড়ির আদলে ছাদরে মুড়িয়ে গিয়াছেন আরও ৫,৬ বৎসর আগে, জনাবা পি এম সাহেবানে জড়িয়ে দিয়াছেন। আর আবদুললা আবু ছাইদ স্যার ওইটা দেখে চুপ হয়ে গেছেন কখন যে ওনাকে আবার লাল সালু কাপড় দিয়া কখন মুড়িয়ে পেলেন, পি এম সাহেবানে তাই। ৩. খান দিনার- নজরুল অন্যায়ের বিরুদ্ধে লিখেছেন, শাসকের বিরুদ্ধে দুর্বিনীত হয়েছিলেন বলে রাজরোষে পড়েছিলেন। জেল খেটেছেন। শেষ জীবন করুণভাবে কেটেছে তাঁর। বাকরুদ্ধ হয়ে অনেকটা অচল অবস্থায় ইহলোক ত্যাগ করেছেন। আজকের কবি লেখকগণ নজরুলের মতো নির্বোধ নন যারা নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়াবেন। গণমানুষের ঠিকাদারি তারা নেননি। তারা হলেন সফেদ পাঞ্জাবি পড়া মার্ক্স লেলিনের থিউরি কপচানো বুদ্ধিজীবী বিশেষ। তাদেরকে রাস্তায় কাদাপানিতে অথবা জেলের শিকের ভেতরে মানায় না। টকশোতে বসে থিউরি কপচানো কিংবা সেমিনার সিম্পোজিয়ামে চেতনার কথা বলে দেশকে উদ্ধার করার ব্রত তারা গ্রহণ করেছেন। এগুলো অনেকটা রাজা কনডমের মতোই নিরাপদ। দেশেরও কাজ করা হলো আবার সরকারেরও প্রিয়ভাজন হয়ে চর্ব্য, চোষ্য খাওয়ার রাস্তা খোলা থাকে। মাঝেমধ্যে সরকারি কোনো কমিশনের সদস্যপদ কিংবা বিদেশ গমন, দুই একটা একাডেমি পদক, এর চেয়ে বেশি কি দরকার। শুধু শুধু সরকারের বিরাগভাজন হয়ে এসব থেকে বঞ্চিত হওয়ার কোনো প্রয়োজন আছে? আজকালকার ডিজিটাল যুগের লেখক, বুদ্ধিজীবীগণ এতোটা বেকুব নয়। ফেসবুক থেকে