শিরোনাম
◈ বেগম খালেদা জিয়ার জন্য সারাদেশে দোয়া ও প্রার্থনার আহ্বান জানিয়েছে সরকার  ◈ পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা এনওসি পাচ্ছে না, বিপাকে পড়তে পা‌রে বিপিএল  ◈ বাফুফে ৪ কোটি টাকার বেশি আয় কর‌লো এশিয়ান কাপ বাছাই’র তিন ম্যাচ থেকে ◈ এবার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের সব কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে রিট ◈ রাজনী‌তি‌তে চল‌ছে সমীকরণ, জোটে যাওয়া নিয়ে এনসিপিতে নানা মত ◈ বিপিএলে নোয়াখালী‌তে খেল‌বেন মোহাম্মদ নবি, সিলেটে সালমান  ◈ বাংলাদেশে পথকুকুর বা বিড়াল হত্যায় কী শাস্তি রয়েছে? ◈ মে‌ক্সি‌কোর বিশ্বকাপ স্টেডিয়ামের পাশে শত শত ব্যাগে মানুষের দেহাবশেষ উদ্ধার ◈ চি‌কিৎসাধীন খালেদা জিয়ার অবস্থা অপরিবর্তিত, তবে ওষুধে রেসপন্স করছেন ◈ দেশের বাজারে কমলো স্বর্ণের দাম, আজ থেকে নতুন দরে বিক্রি

প্রকাশিত : ১৩ জুলাই, ২০১৯, ১২:১৯ দুপুর
আপডেট : ১৩ জুলাই, ২০১৯, ১২:১৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পেশা হিসেবে সাংবাদিকতা পূর্ণতা পায়নি

আমিনুর রহমান তাজ, ফেসবুক থেকে : পত্রিকা, টেলিভিশন অনলাইন পোর্টাল মিলিয়ে দেশে এখন শত শত মিডিয়া। অধিকাংশ মিডিয়ায় নিয়োগপত্র বেতন নেই। তা সত্বেও এই পেশায় প্রতিদিন নাম লেখাচ্ছে অনেক তরুন-তরুনীরা। কি আকর্ষনে তারা মিডিয়ায় আসে তা বোধে আসে না।

এমনও নাম সর্বস্ব মিডিয়া রয়েছে যাদের নিয়োগপত্র বেতন কোনটারই বালাই নেই।আইডেন্টি কার্ডই যথেষ্ট। এই পেশার নাম ভাঙ্গিয়ে চলছে একদল অপরাধী চক্র যারা প্রায়শই আটক হচ্ছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে। এটাও সাংবাদিকতার সুনাম ক্ষুন্নের অন্যতম কারন বলে অনুমিত হয়।

মিডিয়া হাউজগুলোতে কর্মরত অনেক সাংবাদিকের শিক্ষাগত যোগ্যতা কতটুকু তা নিয়েও প্রশ্ন আছে। আছে সংবাদের মান নিয়েও। হাতে গোনা দুই চারটি মিডিয়ার কথা বাদ দিলে বেশিরভাগই অসার।

অন্যদিকে সাংবাদিকদের জন্য যে ওয়েজ বোর্ডের কথা বলা হয় তা কার্যত কাগজ -কলমে। সীমিত মিডিয়ায় ওয়েজ বোর্ড কার্যকর হয়। তাও সীমিত আকারেই। প্রায়শই বেতন আদায়ের জন্য সাংবাদিক নেতাদের লম্ফজম্প করতে হয় বেতন আটকে যাওয়া হাউজগুলোতে।

এদেশে যারা বড় বড় মিডিয়ার কর্ণধার তারা মূলত ব্যবসায়ী। ব্যবসার সেফগার্ড হিসেবেই তারা মিডিয়া হাউজ খুলে বসেন বলে ধারণা করা হয়। ব্যবসায়িক স্বার্থের প্রয়োজনে তারা অনেক সময় সাংবাদিকদের ব্যবহার করে থাকেন।

সংবাদকর্মীদের মধ্যেও অনেক ত্রুটি বিচ্যুতি রয়েছে। মাঝেমধ্যে দলাদলি গ্রুপিংও পরিলক্ষিত হয় মিডিয়া হাউজগুলোতে। বিভক্তি আছে ইউনিয়ন গুলোতেও। রাজনৈতিক দলের প্রতি আনুগত্যটাই প্রধান।

মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন নিয়েও আছে সীমাহীন দূর্ণীতি। আছে প্রচার সংখ্যা নিয়েও কারিশমা। নামসর্বস্ব পত্রিকাগুলো এক্ষেত্রে মোষ্ট বেনিফিশিয়ারি। এগুলো দেখা বা বলার কেউ নেই।

যখন প্রযুক্তি ছিলো না তখন মিডিয়ার একটা মান ছিলো। ছিলো না এতোটা দলাদলি ও কোন্দল। প্রযুক্তির যখন বিকাশ ঘটলো তখন সাংবাদিকতার মান তলানিতে। এটা যখন ভাবনায় আসে তখন মনে মনে ধিক্কার দেই নিজেকে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়