নূর মাজিদ : ইউনিসেফের ওয়াটার, স্যানিটেশন অ্যান্ড হাইজিন বা ওয়াশের সহকারি পরিচালক কেলি অ্যান নেল্যার বলেছেন, শুধুমাত্র ব্যবহারের সুযোগ থাকাই যথেষ্ট নয়। বরং পর্যাপ্ত সংখ্যায় শৌচাগার থাকা প্রয়োজন। একইসঙ্গে প্রয়োজন বিশুদ্ধ পানির নিশ্চয়তা। এবং তা অবশ্যই জনবসতি কাছাকাছি অবস্থানে থাকতে হবে। এসব সুবিধা নিশ্চিত না করে, আমরা বিশ্বের শিশুদের বঞ্চিত করছি। সূত্র : ইউএন নিউজ ডটওআরজি।
চলতি সপ্তাহে, ইউনিসেফের ২০০০ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত জয়েন্ট মনিটরিং রিপোর্টে তিনি এমন কথা বলেছেন। ওই প্রতিবেদনে সামাজিক বৈষম্যের বিষয়টিকে অধিক গুরুত্ব দেয়া হয়। প্রতিবেদনে প্রকাশ, পানি, স্যানিটেশন এবং পরিচ্ছন্নতা অর্জনের যৌথ লক্ষ্যে উলে¬খযোগ্য অগ্রগতি আসলেও, অর্থনৈতিক শ্রেণীভেদে এসব সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে কমবেশি তারতম্য রয়েছে। বিশেষ করে, দারিদ্রপ্রবণ শহুরে বস্তি এবং গ্রামাঞ্চলে এসব সুবিধা এখনও সমানভাবে সাধারণ মানুষের নাগালে পৌছায়নি। এই বিষয়ে নেল্যার বলেন, বিশ্বের সরকারগুলোকে এই সামাজিক এবং অবস্থানগত বৈষম্য দূরীকরণে অবশ্যই জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে। কারণ, এসব সুবিধা পাওয়া মানুষের প্রাথমিক অধিকারের মধ্যে পরে।
প্রতিবেদনটি জানায়, চলতি শতকের শুরু থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত বিশ্বের ১৮০ কোটি মানুষ বিশুদ্ধ পানি ব্যবহারের সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু, এখনও আরো অসংখ্য মানুষ বিশুদ্ধ পানির সংযোগ, প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত এবং বাধ্য হয়ে দূষিত পানি পান করছেন। এই সংকট অতিবাহিত সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরো তীব্র হচ্ছে। বর্তমানে বিশ্বের প্রতি ১০ জনে ১ জন স্যানিটেশন সুবিধা বঞ্চিত। ১৪ কোটি ৪০ লাখ মানুষ অপরিষ্কার পানি সরাসরি পান করতে বাধ্য হচ্ছেন। বিশেষ করে, বিশ্বের গ্রামাঞ্চলে প্রতি ১০ জনের মাঝে ৮ জন মানুষ বিশুদ্ধ পানি এবং স্যানিটেশন সুবিধা বঞ্চিত।
এই অবস্থার নিরসন দাবী করেছে ওয়াশ প্রতিবেদন। জাতিসংঘের বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা বা হু’র পরিচালক মারিয়া নেইরা বলেন, স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং প্রসারে সকল দেশকে তাদের কার্যক্রম দ্বিগুণ গতিশীল করতে হবে। অন্যথায়, ২০৩০ বিশ্বের সকল মানুষের জন্য এসকল সুবিধা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হবেনা।
আপনার মতামত লিখুন :