লিহান লিমা: গত বছর অন্য যে কোন দেশের চেয়ে বেশি শরণার্থীর পুনবার্সন করেছে কানাডা। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে আরো জানানো হয়েছে, ২০১৮ সালে মোট ২৮ হাজার ১০০ শরণার্থীর পুনবার্সনের ব্যবস্থা করেছে দেশটি। ১৯৮০ সালের শরণার্থী আইনের পর এই প্রথমবারের মতো শরণার্থী পুনবার্সনে যুক্তরাষ্ট্রকে টপকে গেলো কানাডা।- দ্য গার্ডিয়ান
অন্যদিকে গত বছর যুক্তরাষ্ট্র ২৩ হাজার শরণার্থীর পুনবার্সন করেছে যা দেশটির ইতিহাসে শরণার্থী পুনর্বাসনে নাটকীয় পরিবর্তন। ২০১৬ সালে এই সংখ্যা ছিলো ৯৭ হাজার। পিউ রিসার্চ সেন্টার জানায়, বিগত বছরগুলোর চাইতে ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থীদের প্রবেশের পরিমাণে সতর্কভাবে লাগাম টেনেছে।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ক্ষমতার আসার পর দেশটিতে কানাডার শরণার্থীদের পুরবার্সনকে প্রধান অগ্রাধিকার দিয়েছেন। ২০১৬ সালে তিনি সিরিয় পরিবারকে বিমানবন্দরে থেকে নিজে স্বাগত জানান। গত বছর মোট ১৮ হাজার সিরিয়ার শরণার্থী কানডার নাগরিকত্ব পেয়েছে।
এর আগে বুধবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা-ইউএনএইচসিআর জানায়, দ্বন্দ্ব ও সংঘর্ষের কারণে বিশ্বে এখন প্রায় ৮ কোটি মানুষ বাস্তুহারা। এই সংখ্যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে সর্বোচ্চ। ইউএনএইচসিআর এর প্রতিনিধিরা কানাডার শরণার্থী নীতির ভূয়সী প্রশংসা করেন। তবে এই সময় তারা বৈশ্বিকভাবে আরো জোরালো পদক্ষেপের ডাক দেন।