শিরোনাম
◈ পঞ্চগড় এক্স‌প্রেস ট্রেনের ব‌গি চার ঘণ্টা পর উদ্ধার, ট্রেন চলাচল স্বাভা‌বিক ◈ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা ◈ সীমান্তে হত্যাকাণ্ড নিয়ে সরকার টু শব্দ করার সাহস পাচ্ছে না: বিএনপি ◈ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে সোমালিয় পুলিশ ও বহুজাতিক নৌবাহিনী ◈ পঞ্চগড় এক্সপ্রেসের বগি লাইনচ্যুত, ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ◈ জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ডিবিতে অভিযোগ করলেন জবি ছাত্রী ◈ ঈদের পর কাওরান বাজার যাবে গাবতলীতে: মেয়র আতিক ◈ আবদুল্লাহ জাহাজে থাকা কয়লায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি নেই: এস আর শিপিং ◈ পাপেট সরকার ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত সব নির্বাচন ত্রুটিপূর্ণ বলবে যুক্তরাষ্ট্র: জয়  ◈ চট্টগ্রামের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হতে তিন দিন লাগতে পারে: রেল সচিব

প্রকাশিত : ২০ জুন, ২০১৯, ০৬:২৯ সকাল
আপডেট : ২০ জুন, ২০১৯, ০৬:২৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘জেহাদ’ উচ্চারণ করলেই কেউ জঙ্গি হয়ে যায় না, পর্যবেক্ষণ ভারতীয় আদালতের

রাশিদ রিয়াজ : মুখে ‘জেহাদ’ উচ্চারণ করলেই কেউ সন্ত্রাসবাদী বনে যায় না। এক মামলার প্রেক্ষিতে উল্লেখযোগ্য এই অভিমত দিল ভারতের মহারাষ্ট্রের আকোলা জেলা আদালত। এক ধাপ আরও এগিয়ে ওই আদালত সন্ত্রাসে অভিযুক্ত তিন যুবককে রেহাইও দিয়েছে।

ঘটনা চার বছর আগের, আকোলার পুসাদ এলাকার। ২০১৫ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর, একটি মসজিদের বাইরে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের উপর হঠাৎই ছুরি নিয়ে চড়াও হয় এক মুসলিম যুবক, আবদুল রাজ্জাক (২৪)। ঘটনাস্থলেই ২জন পুলিশকর্মীকে সে কোপায় এবং চিৎকার করে বলে, ঈদে ওই এলাকায় গোমাংস ভক্ষণ নিষিদ্ধ করার জন্যই সে পুলিশকর্মীদের খুন করতে চায়। ওই সময় রাজ্জাকের সঙ্গে সেখানে ছিল আরও দু’জন। শোয়েব খান (২৪) এবং সেলিম মালিক (২৬)।

পুলিশকর্মীদের আক্রমণ করার সময়ই ‘জেহাদ’ শব্দটির উচ্চারণ করেছিল রাজ্জাক। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই পরে গ্রেপ্তার করা হয় রাজ্জাক-সহ তিন জনকে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় অস্ত্র আইন, বম্বে পুলিশ আইন-সহ একাধিক ধারায়। এমনকী, সন্ত্রাসদমন শাখার (এটিএস) তরফেও অভিযোগ দায়ের করা হয়।

এটিএসের দাবি ছিল, অভিযুক্তরা মুখে বার বার ‘জেহাদ’ উচ্চারণ করছিল, যা থেকে স্পষ্ট, তারা শহরের মুসলিম যুবক-যুবতীদের ফুঁসলে জঙ্গিদলে নাম লেখানোর চক্রান্তে জড়িত। কিন্তু বুধবার মামলার শুনানিতে এটিএসের সেই দাবি নস্যাৎ করে দেন বিশেষ বিচারক এএস যাদব। তিনি বলেন, “সব পক্ষের বক্তব্য শুনে মনে হচ্ছে, রাজ্জাক রেগে গিয়ে ‘জেহাদ’ শব্দটি উচ্চারণ করেছিল। তার রাগ ছিল সরকারের বিরুদ্ধে এবং কিছু হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে, যারা গো-নিধন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। রাজ্জাক হিংসার রাস্তা বেছে নিয়েছিল ঠিকই, কিন্তু ‘জেহাদ’ উচ্চারণ করেছে বলেই তার গায়ে সন্ত্রাসবাদীর তকমা এঁটে দেওয়া ঠিক নয়। কারণ, ‘জেহাদ’ শব্দের অর্থ কঠোর সংগ্রাম। এর সঙ্গে সন্ত্রাসের কোনও যোগ নেই। তাই রাজ্জাক সন্ত্রাসবাদী নয়।” প্রসঙ্গত, দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় রাজ্জাক ইতিমধ্যেই তিন বছর কারাদ- ভোগ করেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়