রাশিদ রিয়াজ : গত বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যবসা ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে আয় হয়েছে ৩শ কোটি ডলার। যদিও ট্রাম্পের রিয়েল এস্টেট, গলফ ক্লাব ও রিসর্ট ব্যবসায় মন্দা যাচ্ছে তারপরও এ আয় আগের দুই বছরের চেয়ে উর্ধমুখী। ২০১৬ সালে আয়ের স্তরে ট্রাম্পের বর্তমান আয় পৌঁছে গেছে। গত বছর তার নেট আয় দাঁড়িয়েছে ২.৮ বিলিয়ন ডলার। ব্লুমবার্গ বিলিওনারিস ইনডেক্স বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য পরীক্ষা করে দেখছে ঋণ পরিশোধে একবার ৫৫ কোটি ডলার খরচ করলেও গত বছর ট্রাম্পের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো ভালই ব্যবসা করেছে। অন্তত ১৬টি আর্থিক হিসেবের সূত্র এক্ষেত্রে পর্যালোচনা করে ব্লুমবাগ।
তবে ট্রাম্পের আয়ে ঘাটতি বা বৃদ্ধি নির্ভর করে ম্যানহাটান ও সানফ্রান্সিসকোতে ভরনাডো রিয়েলটি ট্রাস্টের ওপর। কারণ এ প্রতিষ্ঠানটি ট্রাম্পের সমুদয় আয়ের ২৫ শতাংশ অর্জন করে থাকে। ওই দুটি স্থানে প্রতিষ্ঠানটির ৩০ শতাংশ ও স্টিভেন রথের ৭০ শতাংশ ট্রাম্পের মালিকানাধীন। ভরনাডো’র ব্যবসা গত বছরে বৃদ্ধি পাওয়ায় ট্রাম্পের অংশীদারিত্বে ৩৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৭৬ কোটি ডলার। আর গলফ কোর্স ও ক্লাবের আয় ১৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে গত বছর দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৫২ কোটি ডলার। যদিও এধরনের ব্যবসায় গত বছর কিছুটা মন্দা ছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হবার আগে ট্রাম্প তার ব্যবসা দেখাশোনার দায়িত্ব তার পুত্র ট্রাম্প জুনিয়র, এরিক ট্রাম্প ও সিএফও এ্যালেন ওয়েজেলবার্গের ওপর ন্যস্ত করেন। তারও আগে ট্রাম্প অর্গানাইজেশন তার সবধরনের ব্যবসা দেখভাল করত। তবে ট্রাম্পের সঠিক আয় সম্পর্কে কোনো সুনির্দিষ্ট হিসেব পাওয়া বেশ মুস্কিল। তবে গত বছর ট্রাম্পের বিভিন্ন অফিসের আয় বেড়েছে ৩৪ কোটি ডলার। নিউইয়র্কে ট্রাম্প টাওয়ারের মূল্যস্ফীতি ২৭ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ায় তা দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৪৪ কোটি ডলারে। ম্যানহাটানে ফোরটি ওয়ালস্ট্রিটের মূল্য ১৩ শতাংশ বৃদ্ধিতে তা উঠেছে ৪৮ কোটি ডলারে। তবে নতুন করে হোটেল ব্যবসা সম্প্রসারণ পরিকল্পনা ট্রাম্প নিজেই বাতিল করে দেন। এছাড়া ট্রাম্পের ৫৫ কোটি ডলার ঋণের পাশাপাশি তার বন্ধকের পরিমান রয়েছে ১১ মিলিয়ন ডলার। ফ্লোরিডায় বোনের কাছ থেকে ট্রাম্প যে বাড়িটি কেনেন তার ওপর এ বন্ধক নেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ট্রাম্প তার ওয়াশিংটন হোটেল, ফ্লোরিডা গলফ কোর্স রিসর্ট ডোরাল ও শিকাগো টাওয়ারের জন্যে ঋণ নিয়েছেন ৩০ কোটি ডলার। ব্যবসা মন্দার কারণে ব্লুমবার্গের ৫’শ ধনীর তালিকা থেকে ট্রাম্প ছিটকে পড়েন কারণ তার আয়ে ৪’শ কোটি ডলার ঘাটতি দাঁড়িয়েছিল। ওই ৫’শ ধনী ব্যক্তির মোট সম্পদ ১২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৫.৩৯ ট্রিলিয়ন বা ৫ লাখ কোটি ডলারেরও বেশি।