আসিফুজ্জামান পৃথিল : অবৈধভাবে অভিবাসী পাচারের অভিযোগে ইতালিতে বিচার চলছে এক জার্মান বোট ক্যাপ্টেনের। এই নারী নাবিকের ২০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। তবে তার দাবি তিনি পাচার নয়, বরং অভিবাসীদের উদ্ধার করে প্রাণ বাঁচিয়েছেন। ডেইলি মেইল।
২০১৭ সালে পিয়া ক্লেম্পকে অবৈধ অভিবাসনে সহায়তার দায়ে আটক করা হয়। সে সময় আটক করা হয় তার নৌযানও। তবে পিয়া বলছেন, তিনি যা করেছেন তা মানবতা থেকেই করেছেন। পিয়া ক্লেম্প স্বীকার করে নিয়েছেন, তিনি হাজারো উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেছেন।
তবে ইতালিয়ান কর্তৃপক্ষ বলছে, পিয়ার সঙ্গে মানব চোরাচালানকারীদের যোগাসোজগ ছিলো। তিনি রন্দেভু পয়েন্ট থেকে অভিবাসীদের সংগ্রহ করে উদ্ধারের নাটক করতেন। গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের তোলা ছবিতে দেখা যায়, চোরাচালানকারিদের নৌকা পিয়ার নৌযানকে পাহারা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তবে তার দাবি ছবিগুলো লিবিয়ান উপকূলে নয়, মাল্টায় তোলা। উগ্র ডানপন্থী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মাতেও সালভিনির প্রভাবে প্রভাবিত ইতালি পিয়া ক্লেম্পকে তাদের উপকূলে নিষিদ্ধ করারও পরিকল্পনা করছে।
২০১৭ সালে পিয়াকে আটকের পর ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তার নৌযান লুভেন্তাকে জব্দ করে রেখেছে কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকে পিয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। সুইজারল্যান্ডের সংবাদপত্র বাসলার জেইতাংকে বলেছেন, তার ২০ বছরের সাজা এবং আকাশচুম্বি জরিমানা হতে পারে। সম্পাদনা : ইকবাল খান