আসিফুজ্জামান পৃথিল : টানা দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর নরেন্দ্র মোদীর সামনে বড় একটি চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। মোদী নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুন করবেন। কার্যত অতি কঠিন কাজটিই তাকে এখন করতে হবে। দ্য ওয়্যার।
মোদীর ক্ষমতার প্রথম ৫ বছর ভারতে বড় ধরণের কৃষক বিক্ষোভ হয়েছে। নায্য মূল্য না পেয়ে কৃষকের আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটেছে। এসময় কৃষক একক চেষ্টায় ফসলের বাম্পার ফলন করেছেন। কিন্তু নায্য মূল্য পাননি। লোকসান দিতে দিতে কৃষকের মেরুদণ্ড ভেঙে গেছে। সরকার মূল্যস্ফিতি আর কৃষিপণ্যের দাম কম রাখতে পেরেছে। কিন্তু এতে কৃষকের কোন লাভই হয়নি। এরমধ্যে নাসিক থেকে মুম্বাই এর একটি কৃষক র্যালি এনডিএ সরকারের ভিত পর্যন্ত কাঁপিয়ে দিয়েছিলো। এরপরই মোদী ঘোষণা দেন ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকের আয় দ্বিগুণ হবে। তবে কৃষক এই ঘোষণায় আস্বস্ত হননি। যদি গ্রামীন অঞ্চলে মোদী ভোট পেয়েছেন, তবুও বন্ধ হয়নি কৃষকদের প্রতিবাদ। অনেক বিশ্লেষকরাই বলছেন, মোদীর প্রতিশ্রুতিতে আস্বস্ত হয়ে নয়, কৃষকরা তাকে ভোট দিয়েছেন ধর্মীয় উন্মাদনা থেকে।
মোদীর জন্য নিজের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা কঠিন। কারণ এজন্য তাকে মধ্যসত্বভোগী, ব্যবসায়ী এবং পুঁজিপতিদের স্বার্থে ঘা দিতে হবে। মোদী এটি করতে চাইবেন না। তারণ এরা মোদীর বড় ধরণের ভোট ব্যাংক। শুধু ভোট ব্যাংকই নন, কৃষকের ভোটের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়েও এরা যথেষ্ট ভূমিকা রাখেন। অভিযোগে রয়েছে, এই ব্যক্তিরা কৃষককে ভোট দিতে বাধ্যও করেন নির্দিষ্ট প্রতীকে। তাই মোদী বা বিজেপি চাইবে না এদের স্বার্থে আঘাত হানতে। তাই বলা যায়, মোদী এমন এক প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন, যা তার জন্য রক্ষা করা অতি কঠিন।