লিহান লিমা: অপরাধ করলেও বিচার বিভাগের নীতির অধীনে প্রেসিডেন্টকে দোষী সাব্যস্ত করা যাবে না, মার্কিন নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ নিয়ে তদন্ত করা বিশেষ কাউন্সেল রবার্ট মুলারের এমন মন্তব্যে জোরালো হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিশংসনের দাবি। ডেমোক্রেট কংগ্রেস সদস্যরা বলছেন মুলার স্পষ্ট করেছেন, কংগ্রেসকেই এই ইস্যুতে পদক্ষেপ নিতে হবে।
মুলার তদন্তের ৪৪৮ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের প্রচারণা শিবিরের সঙ্গে রুশ আঁতাত না থাকলেও ট্রাম্প অন্তত দশবার তদন্ত কাজে বাধা দেয়ার চেষ্টা করেছেন। অর্থাৎ তথ্য প্রমাণের ঘাটতির কারণে নয়, বিচার বিভাগীয় বিধি-নিষেধের কারণেই ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করা যায় নি।
নিউ জার্সির সিনেটর কোরি বুকার বলেন, ‘হাউসের অভিশংসন প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত। কেউই আইনের উর্ধ্বে নয়।’ ক্যালিফোর্নিয়ার সিনেটর কামালা হ্যারিস বলেন, ‘অভিশংসন প্রক্রিয়া শুরু করা এখন আমাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব।’ ম্যাসাচুসেটনের সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন বলেন, ‘মুলার কোন সন্দেহ রাখেন নি। প্রথমত, তিনি প্রেসিডেন্টকে দায়মুক্তি দেন নি কারণ তিনি যে অপরাধ করেছেন তার প্রমাণ রয়েছে। দ্বিতীয়ত, বিচার বিভাগের নীতির মুলারকে প্রেসিডেন্টকে কোন অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত করা থেকে বিরত রেখেছে। তৃতীয়ত, এখন মূল কাজ কংগ্রেসের এবং সেটি অভিশংসন।’ নিউইয়র্কের সিনেটর গিলি ব্র্যান্ড রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেট দুই দলকেই অভিশংসন প্রক্রিয়া শুরুর আহ্বান জানান। হাউসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বলেন, ‘ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য প্রেসিডেন্টের দায়ভার নিতে বাধ্য করতে হবে, এই সাংবিধানিক দায়িত্ব কংগ্রেসের।’
যদিও রিপাবলিকানরা ইতোমধ্যেই বলেছেন, মুলারের তদন্ত প্রতিবেদন প্রেসিডেন্টের প্রতি তাদের সমর্থনে কোন রকম পরিবর্তন আনবে না। সিনেটের রিপাবলিকান নেতা লিন্ডসে গ্রাহাম বলেছেন, ‘মুলার তদন্ত শেষ।’ মুলারের মন্তব্যের পর ট্রাম্প বলেন, ‘অবশেষে ডাইনী খোঁজা শেষ হলো।’ হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি সারাহ হাকেবি স্যান্ডার্স বলেন, ‘দুই বছর পর বিশেষ কাউন্সেল তার ব্যক্তিগত জীবনে ফেরত যাচ্ছেন, সবারই তাই করা উচিত।’
এর আগে, ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ নিয়ে ২২ মাস যাবৎ তদন্ত করার পর বুধবার এর আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করেন রবার্ট মুলার।
আপনার মতামত লিখুন :