শিরোনাম
◈ অন্তর্বর্তী সরকারের আহ্বানে সাড়া? বিএনপি–জামায়াতের মধ্যে আলোচনা উদ্যোগ ◈ আজ ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস ◈ ভয়ানক অভিযোগ জাহানারার, তোলপাড় ক্রিকেটাঙ্গন (ভিডিও) ◈ জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও সময়মতো জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিতের আহ্বান বিএনপির স্থায়ী কমিটির ◈ কমিশনের মোট ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ৭১ লাখ টাকা, আপ্যায়ন বাবদ ব্যয়  ৪৫ লাখ টাকা ◈ ভার‌তের কা‌ছে পাত্তাই পে‌লো না অস্ট্রেলিয়া, ম‌্যাচ হার‌লো ৪২ রা‌নে ◈ শুল্ক চুক্তির অধীনে মা‌র্কিন উ‌ড়োজাহাজ নির্মাতা বোয়িংয়ের কাছ থেকে ২৫টি বিমান কিনছে বাংলাদেশ ◈ টিটিপাড়ায় ৬ লেনের আন্ডারপাস, গাড়ি চলাচল শুরু শিগগিরই (ভিডিও) ◈ বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিপূরণ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ বার্তা ◈ ভালোবাসার টানে মালিকের সঙ্গে ইতালি যাওয়া হলো না সেই বিড়াল ক্যান্ডির!

প্রকাশিত : ২৮ মে, ২০১৯, ১২:৩২ দুপুর
আপডেট : ২৮ মে, ২০১৯, ১২:৩২ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আজ নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস, প্রসবজনিত জটিলতায় প্রতিদিন মারা যাচ্ছে ১৫ জন

ডেস্ক রিপোর্ট : গর্ভধারণ ও প্রসবজনিত জটিলতায় গড়ে ১৫ জন মায়ের মৃত্যু হয় দেশে প্রতিদিন। প্রসব পরবর্তী রক্তক্ষরণ, খিঁচুনি, গর্ভকালীন জটিলতা, ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থা ও পরিবারের অবহেলা মাতৃমৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। বেশির ভাগ গর্ভজনিত মৃত্যু হয়ে থাকে বাসাবাড়িতে। এই হার প্রায় ৫৪ শতাংশ। গর্ভপাতের কারণেও মাতৃমৃত্যুর হার আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাতৃমৃত্যুর কারণসমূহ পুরোপুরিভাবে প্রতিরোধযোগ্য। প্রাক গর্ভধারণ ও গর্ভকালীন যত্নের বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। এড়িয়ে চলতে হবে অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান। মাতৃমৃত্যুর ৫৫ ভাগই প্রসবের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘটে থাকে। এ কারণে প্রসব-পরবর্তী সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সমকাল

সংশ্নিষ্টরা জানান, মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাস করতে দেশে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে সেগুলো। এর কিছুটা সুফল পেলেও সন্তোষজনক পর্যায়ে পৌঁছেনি এখনও। মায়েদের সার্বিক স্বাস্থ্যসেবার জন্য দেশে এখনও স্থায়ী ব্যবস্থাপনা নেই। মায়ের গর্ভকালীন, প্রসবকালীন ও প্রসব-পরবর্তী যত্নের অভাব রয়ে গেছে প্রকটই। আর মায়েদের  সার্বিক স্বাস্থ্যসেবার জন্য দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থাপনা না থাকায় তাদের বড় একটি অংশ ঝুঁকির মধ্যে থাকেন সব সময়। মাতৃমৃত্যুর হিসাব করলে সব মায়ের হিসাব করা দরকার। একইভাবে মাতৃস্বাস্থ্য সেবা বললে সব মায়ের স্বাস্থ্যসেবাকে বিবেচনায় নিতে হবে। দেশে এখনও প্রতি বছর ৫ হাজার ৪৭৫ জন মা গর্ভজনিত মৃত্যুবরণ করছেন। ডেলিভারির ক্ষেত্রে ৫৪ শতাংশ মা মারা যান বাড়িতে। আর রক্তক্ষরণের কারণে মারা যান ৩১ শতাংশ।

স্ত্রীরোগ ও ধাত্রীবিদ্যা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সায়বা আক্তার বলেন, 'আমাদের সচেতন হতে হবে। তাহলে মাতৃমৃত্যুর হার কমে আসবে। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমের ভূমিকা রয়েছে।'

এ পরিস্থিতিতে আজ মঙ্গলবার পালিত হচ্ছে 'নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস'। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- 'মর্যাদা ও অধিকার, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রসূতি সেবার অঙ্গীকার।' সচেতনতামূলক নানান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হচ্ছে। ১৯৯৭ সাল থেকে দেশে প্রতিবছর ২৮ মে 'নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস' পালন করে আসছে অবস্ট্রেটিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওজিএসবি)। সংগঠনটির মহাসচিব অধ্যাপক ডা. সালেহা বেগম চৌধুরী বলেন, 'স্ত্রীরোগ ও ধাত্রীবিদ্যা বিশেষজ্ঞদের এই সমিতির সদস্য দুই হাজার। শাখা রয়েছে ১৩টি। এগুলো গুরুত্বপূর্ণ জেলা শহরে অবস্থিত। ফলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ওজিএসবির সদস্যরা দেশের মায়েদের সেবা প্রদানে তাদের দক্ষতার প্রমাণ রাখতে সক্ষম হয়েছে। সদস্যদের পরিচালনায় ঢাকার মিরপুর-১ এবং মিরপুর-১৩ নম্বরে দুটি হাসপাতাল অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে সেবা প্রদান করছে। সেখানে মায়েদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিৎসা, ওষুধ এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে অপারেশন করা হয়।'

 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়