রাশিদ রিয়াজ : পর্যাপ্ত খাবার নেই। নেই পানীয় জল, জ্বালানিও। ভারত থেকে বহুদূরে, মাঝসমুদ্রে ওরা দু’জন রয়েছেন নিতান্ত অসহায়ভাবে। সম্বল বলতে মোবাইল ফোন আর একটা পরিত্যক্ত জাহাজ। এর মধ্যে দ্বিতীয়টির অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। যে কোনও মুহূর্তে যা ডুবে যেতে পারে সমুদ্রের অতলে।পারস্য উপসাগরের কোলে সেই মৃত্যুকূপে ওরা রয়েছেন দীর্ঘ ৩১ মাস। নিরুপায় হয়ে তাই, নিজেদের অবস্থার কথা জানিয়ে জরুরি ভিত্তিতে খবর পাঠালেন দু’জনেই। সংবাদ প্রতিদিন
প্রথম জন বিকাশ মিশ্র। উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। আরও যিনি আছেন, তার আদি নিবাস তামিলনাড়ৃু। বর্তমানে ওদের একটাই ঠিকানা। জাহাজ এমভি তামিম আলদার। বিপজ্জনকভাবে যা ভেসে রয়েছে পারস্য উপসাগরে। আরও স্পষ্ট করে বললে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপকূলে। জ্বালানির অভাবে জাহাজটি চলছে না। কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে এর প্রধান ইঞ্জিন জেনারেটরটিও। দুই ভারতীয় নাবিক বেঁচে আছেন মজুত কয়েকটি ইনস্ট্যান্ট নুডলসের প্যাকেটের দৌলতে। কোনওক্রমে সামান্য কিছু কাঠ জোগাড় করে, তাই জ্বালিয়ে তারা নুডলস রান্না করে ক্ষুধা নিবৃত্তি করছেন।
নিজেদের এই দুরবস্থার ছবি মিশ্র ‘পোস্ট’ করেছেন টুইটারে। লিখেছেন, এটাই আজ আমাদের মধ্যাহ্নভোজ। আদিম মানুষ যেভাবে বাস করত, আমরাও সেভাবেই রয়েছি। মিশ্র গত ২৬ মাস ধরে বেতনও পান না। তাদের কাজে নিয়োগ দেয় মুম্বাইয়ের একটি সংস্থা। নাবিকদের দুরবস্থার কথা জেনেছে দুবাইয়ে ভারতের কনসাল জেনারেল। তারা জানিয়েছে, আগামী দিন কয়েকের মধ্যেই মাঝসমুদ্রে আটকে পড়া নাবিকদের ফেরানো হবে। ততদিন পর্যন্ত খাবার-দাবারের বন্দোবস্তও করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে তারা।