শিরোনাম
◈ পারস্পরিক শুল্ক সংকট: চূড়ান্ত দর-কষাকষিতে বাংলাদেশ ◈ আরব আমিরাতের আবুধাবিতে প্রবাসী বাংলাদেশির ভাগ্যবদল: লটারিতে জিতলেন ৮০ কোটি টাকা ◈ ২৪ ঘণ্টায় গাজায় নিহত ১১৮, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পর্যালোচনায় হামাস ◈ ‘মব এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হলে কঠোর পদক্ষেপ নেবে সেনাবাহিনী’ ◈ হোটেলে নারীকে মারধর করা বহিষ্কৃত যুবদল নেতার বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তারের চেষ্টায় পুলিশ ◈ বনানীর জাকারিয়া হোটেলে ঢুকে নারীদের ওপর যুবদল নেতার হামলা, ভিডিও ◈ দাঁড়িপাল্লা প্রতীকসহ জামায়াতের নিবন্ধন পুনর্বহালের গেজেট প্রকাশ ◈ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও শহীদ দিবস পালনের নির্দেশ ◈ তিন দিনের ছুটিতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, পাবেন না যারা ◈ উচ্চ ও নিম্ন আদালতকে ফ্যাসিস্টমুক্ত করতে হবে: সালাহউদ্দিন

প্রকাশিত : ২৭ মে, ২০১৯, ০৬:০১ সকাল
আপডেট : ২৭ মে, ২০১৯, ০৬:০১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কৃষকের ধান-পাট যখন শাসকদের বোঝা

বাকী বিল্লাহ : অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে ধান আর পাটই এই মুহূর্তে শাসকের জন্য সবচেয়ে বড় বোঝা। শব্দ দু’টি উচ্চারিত হলেই তাদের ভ্রƒ কুঁচকে যাচ্ছে। পাটকলের শ্রমিকদের বকেয়া বেতনের আর কৃষকদের ধানের ন্যাযমূল্য না হোক অন্তত উৎপাদন খরচ তুলে আনার দাবি তাদের উন্নয়নকাম চরিতার্থ করতে বিঘœ সৃষ্টি করছে। মন্ত্রী... ভাবছেন, এসব ... ধান-পাট তারা থোড়াই কেয়ার করেন। তাদের গলায় মুক্তার মালার মতো কতো মূল্যবান অলংকার আছে। তাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ আছে, পারমাণবিক প্রকল্প আছে, স্যাটেলাইট আছে। ওখানে আরো বড় বড় খরচাপাতি করতে হবে। হাজার হাজার কোটি খরচ, শত শত কোটির ফায়দা। টনকে টন চাল আমদানি করতে পারলে ফায়দা, চালের দাম বেশি দেখিয়ে একদল দেদারসে টাকা পাচার করতে পারেন। টাকা শুধু কামালে তো হবে না, ওগুলোকে নিরাপদ জায়গায় স্থানান্তরেরও ব্যাপার আছে।

শাসকের আরেকটা বড় বোঝার নাম গার্মেন্টস শ্রমিক। এই হাভাতের দলকে বেতন দিতে গিয়ে শাসকের ‘পেয়ারে জান’ গার্মেন্টস মালিকরা চার হাত-পায়ে মুনাফা করতে পারছেন না। আর তাই বিপুল মুনাফা করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে উঠলেও ওই মালিক পক্ষের জন্যই বাজেটে হাজার হাজার কোটি টাকা প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কখনো শুনেছেন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের প্রয়োজনীয় পুষ্টি বা চিকিৎসা অথবা তাদের সন্তানদের শিক্ষার জন্য কোনো প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে? তাদের জন্যও বাজেটে খরচ ধরা আছে, তবে সেটি হচ্ছে তাদের ... ঠা-া রাখার জন্য। ঠকালেও যেন তারা প্রতিবাদ করতে না পারেন, তার জন্য আছে শিল্প পুলিশ... মালিকদের ঠ্যাঙ্গাড়ে বাহিনী।

এসব কথা ভাবতে গেলে নিজেই নিজের গালে হাত দিয়ে হাবা হয়ে বসে থাকি। একটা রাষ্ট্র নিজেই নিজের রক্ত-মাংসের স্বরূপকে অবজ্ঞা করে গায়ের গোলাপি জামা নিয়ে বড়াই করে। আমাদের এই জনবহুল দেশটি হাওয়াই মিঠাইয়ের মতো ফুড়ুৎ হয়ে যেতো যদি আমাদের কৃষি, গার্মেন্টস শ্রমিক আর প্রবাসী শ্রমিকরা না থাকতো। এই প্রতিটি মহামূল্যবান অলংকারকে পায়ের নিচে দলেপিষে নিঃশেষ করা হচ্ছে। দেশের গোটা শরীর ও আত্মাজুড়ে মহাপ্রাণের মতো বিরাজ করে যে কৃষি, সেই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী বলেন... দেশের উন্নয়ন হয়েছে বলে কৃষকরা ধানের দাম পাচ্ছে না। এ কথা শোনার পর মনে হয়েছিলো, কেন উন্মাদ হয়ে জামাকাপড় খুলে রাস্তায় নেমে যাচ্ছি না! যে সমস্ত দেশে কৃষি ততোটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, সেসব দেশেও কৃষি বা কৃষককে কীভাবে মাথায় করে রাখা হয় তা এই বোধহীন কর্তাদের মনে কি কোনো রেখাপাত করে না। কীভাবে এরা? ডিজিটাল বাংলাদেশ খেয়ে বাঁচা যায়? ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়