সালেহ্ বিপ্লব : ২০১৪ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে সংসদ ভবনে ঢোকার সময় সিঁড়িতে মাথা ঠেকিয়ে প্রণাম করেছিলেন মোদী। এবার প্রথমে বিজেপি সংসদীয় দলের নেতা, তার পরে এনডিএ’র সংসদীয় দলনেতা নির্বাচিত হওয়ার পর মাথা ছোঁয়ালেন সংবিধানে। এরপর তিনি বলেন, ‘‘সংবিধানকে সাক্ষী রেখে আমরা প্রতিজ্ঞা করছি যে, সব বর্গের মানুষকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে হবে। ধর্ম-জাতির ভিত্তিতে কোনও ভেদাভেদ হবে না। সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, এবং তার সঙ্গে সবকা বিশ্বাস আমাদের মন্ত্র হবে।’’ আনন্দবাজার পত্রিকা
নরেন্দ্র মোদী সংসদের সেন্ট্রাল হলে পা রাখার ঠিক আগে ফুল দিয়ে সাজিয়ে রাখা সংবিধানের উপরের আস্তরণটা সরিয়ে নেয়া হয়। তৈরি হয়ে যায় দিনের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ছবির প্রেক্ষাপট। এবার জয়ী হয়ে নতুন যে মন্ত্র ‘সবকা বিশ্বাস’, এই বিশ্বাস মানে কাদের বিশ্বাস? মোদীর মনোভাব যা বোঝা গেলো, সংখ্যালঘুদের বিশ্বাস অর্জন করতে চান তিনি। স্পষ্ট করে বললে, মুসলমানদের। যাঁরা বিজেপি-কে ভোট দেন না ধরে নিয়েই এ দেশের রাজনীতির হিসেব কষা হয়। বিজেপি নেতারাও মুসলমানদের ভোট মিলবে না ধরে নিয়েই অঙ্ক কষেন। রাষ্ট্রপতির কাছে নতুন সরকার গঠনের দাবি জানাতে যাওয়ার আগে নরেন্দ্র মোদীর প্রতিজ্ঞা, ‘‘ওঁদের বিশ্বাস জয় করতে হবে।’’
গতকাল সংসদের সেন্ট্রাল হলে বিজেপি তথা এনডিএ’র এমপিদের উদ্দেশে মোদী বলেছেন, ‘‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে সংখ্যালঘুদের সঙ্গে ছলনা করে তাঁদের আতঙ্কিত করে রাখা হয়েছে। তার থেকে ভারো হত, যদি সংখ্যালঘুদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করা হত। ২০১৯-এ আমি আপনাদের থেকে আশা করব যে এই ছলনায় ছিদ্র করতে হবে। আমাদের বিশ্বাস জিততে হবে।’’ গত পাঁচ বছরে সংখ্যালঘুদের উপর গোরক্ষক বাহিনীর হামলার ঘটনায় বারবার মোদীর দিকে আঙুল উঠেছে। লোকসভা ভোটের আগে মার্কিন পত্রিকা তাঁকে ভারতের ‘ডিভাইডার ইন চিফ’ তকমা দিয়েছিল। কাল মোদীর কথা শুনে বিজেপি নেতাদের মনে হয়েছে, তিনি এ বার বিজেপির ‘সংখ্যালঘু-বিরোধী’ তকমা ঝেড়ে ফেলতে চান।
আপনার মতামত লিখুন :