স্পোর্টস ডেস্ক : আর মাত্র দিন ছয়েক পরেই মাঠে গড়াবে ক্রিকেট বিশ্বকাপের ১২তম আসর। অন্য যেকোনো আসরের থেকে এবারের আসরে টাইগারদের কাছে যেন একটু বেশিই প্রত্যাশা করছেন সমর্থকরা। সেই প্রত্যাশা পূরণ করার দায়িত্ব পড়েছে ১৫ জন ক্রিকেটারের উপর। ইংলিশদের ডেরায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেয়েছেন অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতও। যিনি বাংলাদেশ দলের ফিনিশারও হতে পারেন। এমনটাই জানিয়েছে ক্রীড়া বিষয়ক ওয়েবসাইট স্পোর্টস বাংলাদেশ।
বর্তমান বাংলাদেশ দলের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে যে কয়জন তরুণ ক্রিকেটারদের উপর ভরসা রাখা হয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন মোসাদ্দেক। ব্যাটিং অলরাউন্ডার হিসেবে স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত হলেও ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিং এবং ফিল্ডিং দুই বিভাগেই অবদান রাখার সামর্থ্য আছে এই ক্রিকেটারের।
১০ ডিসেম্বর ১৯৯৫ সালে ময়মনসিংহে জন্ম নেয়া এই ক্রিকেটারের প্রথম শ্রেণির অভিষেক হয় ২০১৩-১৪ মৌসুমে। এরপর বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলে পারফরম্যান্স করে নির্বাচকদের নজরে আসেন সৈকত। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২০১৬ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে অভিষেক হয় এই ক্রিকেটারের।
অভিষেকের পর থেকে এখন পর্যন্ত জাতীয় দলে পুরোপুরি নিয়মিত না হতে পারলেও যে সুযোগগুলো পেয়েছেন সৈকত সেগুলোয় নিজেকে পুরোপুরি মেলে ধরতে খুব বেশি যে সফল হয়েছেন তাও একেবারে বলা যায় না।
২০১৬ সালের শেষের দিকে অভিষেকের পর থেকে ২০১৯ এর এখন পর্যন্ত সৈকত ওয়ানডে খেলেছেন মোট ২৬ টি। ২৬ ওয়ানডে থেকে সৈকত ৩৩.৯২ গড় এবং ৮৫.৫ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন ৪০৭ রান। অন্যদিকে ২৬ ওয়ানডে থেকে সৈকতের উইকেট সংখ্যা ১১টি। তবে এখানে সৈকতের সাফল্য ইকোনমি ৫ এর নিচে।
মাঝে মাঠের পারফরম্যান্স খারাপ যাওয়ায় যেমন হয়েছিলেন সমালোচিত তেমনি মাঠের বাইরের কর্মকান্ডেও সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি। তবে সেগুলোকে পিছনে ফেলে আবারো দলে সুযোগ করে নেন সৈকত।
বিশ্বকাপ স্কোয়াডে সুযোগ পেলেও দলের নিয়মিত একাদশে হয়তো সুযোগ নাও মিলতে পারে মোসাদ্দেকের। স্কোয়াড ও দলে তার অন্তর্ভুক্ত নিয়ে নির্বাচকরা জানান দলের বেশ কয়েকজন মিলে খেলোয়াড়ের ইনজুরি সমস্যা আছে সেই ক্ষেত্রে ব্যাকআপ ক্রিকেটার হিসবে তাকে নেয়া। পাশাপাশি ইংল্যান্ডে গেলো চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে এই ক্রিকেটারের। পাশাপাশি প্রতিপক্ষ বিবেচনায়ও একাদশ সাজাতে স্কোয়াডে রাখা হয় তাকে।
সদ্য শেষ হওয়া ট্রাইনেশন সিরিজের ফাইনালে ইনজুরি আক্রান্ত সাকিবের জায়গায় দলে সুযোগ পেয়ে ঠিকই বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকার যথার্ততা প্রমাণ করার চেষ্টায় কিছুটা হলেও সফল হন সৈকত। খেলেন ম্যাচ জিতানো ২৪ বলে ৫২ রানের ইনিংস। তবে একাদশে সুযোগ পেলে মোসাদ্দেক নিজের সেরাটা দিয়ে দলের জন্য অবদান রাখবে এটাই প্রত্যাশা দল ও সমর্থকদের।