কামরুল হাসান মামুন : তোমাদের ছেলেমেয়েরা যদি পাবলিক স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে না পড়ে, পাবলিক হাসপাতালে চিকিৎসা না নেয়, পাবলিক বাসে না চড়ে, তাহলে এগুলোর প্রতি তোমাদের মায়া কোথা থেকে আসবে? ঢাকা শহরের প্রত্যেকটি প্রাইমারি স্কুলের নিজস্ব জায়গা আছে। এই মহামূল্যবান জায়গাগুলোর কি অপচয়। ভালো শিক্ষক নিয়োগ ও ভালো অবকাঠামোর মাধ্যমে এই স্কুলগুলোকে যদি মানসম্পন্ন করতে পারতাম তাহলে আমার ধারণা শিক্ষায় একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন আসতো। এই স্কুলগুলোতে শহরের সব শ্রেণির মানুষেরা পড়াশোনা করতো। ফলে ধনী-গরিবের মাঝে শিক্ষার উছিলায় একধরনের মেলবন্ধন তৈরি হতো।
ইদানীং ইংলিশ মিডিয়ামের অনেক ছেলেমেয়েই দশম শ্রেণি থেকে আর স্কুলে যায় না। শুরু হয় কোচিং আর প্রাইভেট টিউটরের কাছে পড়া। স্কুল কি শুধুই বই পড়ার জন্য? আমরা এখনো আমাদের খারাপ সময়ে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতি রোমন্থন করে সুখ পাই। এগুলো হলো সোনালী সময়। এছাড়া স্কুল বই পড়া ছাড়াও নেতৃত্ব ও মানুষের সঙ্গে মেশার শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে মানুষকে সামাজিক মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করে। যারা স্কুলে নিয়মিত না তাদের কাছ থেকে কোনোদিন লিডারশিপ কোয়ালিটি আশা করা যায় না।
বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন আমাদের ছাত্রছাত্রীরা দরখাস্ত করে তখন আমাদের কাছ থেকে রিকমেন্ডেশন লেটার চাওয়া হয়। সেখানে এসব বিষয় উল্লেখ করতে হয় কারণ এগুলোকে তারা খুবই গুরুত্ব দেয়। প্রাচীনকালে একা একা গবেষণা করতো, কিন্তু এখন পড়ষষধনড়ৎধঃরড়হ-এর যুগ। এমনকি আন্তর্জাতিক কলাবোরেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই তারা জানতে চায় গ্রুপে কাজ করতে পারে কিনা। নেতৃত্বের গুণাবলী আসছে কিনা।
যারা নিয়মিত স্কুলে যায় না তাদের আত্মকেন্দ্রিক ও অসামাজিক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আমাদের সন্তানদের আমরা অতি ংবষভ পড়হংপরড়ঁং ড়হ ঃযবরৎ পধৎববৎ ধহফ ৎবংঁষঃ বানাতে চাই না এবং চাওয়া উচিত নয়। যখন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে শ্রেণিকক্ষে ক্লাস করার সময় সেসময়ে এটা না করলে পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে। শুনেছি রাজধানীতে অনেক কোচিং সেন্টার আছে যেগুলো স্কুল চলাকালীন সময়ে ক্লাস হয়। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :