শিরোনাম
◈ চ‌্যা‌ম্পিয়ন্স লিগ, বরুশিয়ার নি‌শ্চিত জয় রুখে দিলো জুভেন্টাস ◈ দূর্গা পুজাতে ভারতে গেল ৮ ট্রাক ইলিশ ◈ এমবাপ্পের দুই পেনাল্টি গোলে চ‌্যা‌ম্পিয়ন্স লি‌গে রিয়াল মাদ্রিদের শুভ সূচনা ◈ যে কারণে শিবির ক্যাম্পাসে জিতছে, সেই কারণেই বিএনপি জাতীয় নির্বাচনে জিততে পারে: দ্য ডিপ্লোম্যাটের নিবন্ধ ◈ টানা দুই হা‌রের পর জ‌য়ে ফির‌লো মেসির ইন্টার মায়ামি ◈ করমর্দন বিতর্কে সুনীল গাভাস্কার - ক্রীড়া এবং রাজনীতি কখনোই আলাদা ছিল না  ◈ সীমানা পুনর্নিধারণ নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে নির্বাচন কমিশন ◈ বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক হবে গঠনমূলক ও ভবিষ্যতমুখী: হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা ◈ এলডিসি থেকে উত্তরণ: আরও তিন বছরের সময় চাইছে বাংলাদেশ ◈ আইসিসির শাস্তির ভ‌য়ে এশিয়া কাপ বয়কট কর‌ছে না পাকিস্তান

প্রকাশিত : ২২ মে, ২০১৯, ০৮:৪৫ সকাল
আপডেট : ২২ মে, ২০১৯, ০৮:৪৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রাতে না ঘুমালে আয়ু কমে, গবেষণায় প্রকাশ

মোহাম্মদ মাসুদ : আমরা যখন ঘুমিয়ে থাকি মস্তিষ্ক তখন স্মৃতি ও তথ্য সংরক্ষণ করে। শরীর ক্ষতিকারক উপাদানগুলোকে সরিয়ে ঠিকঠাক করে যাতে জাগার পরে শরীর আবার ঠিকমত কাজ করতে পারে। একটুখানি ঘুমের অভাবও আমাদের ভালো থাকা না থাকাকে অনেকখানি প্রভাবিত করে। বিবিসি বাংলা

এক গবেষণা বলছে, কেউ টানা ১৭ থেকে ১৯ ঘণ্টা জেগে থাকলে যে ধরনের প্রভাব পড়ে অতিরিক্ত মদ্যপানের ফলেও মস্তিষ্কে একই ধরনের প্রভাব পড়ে। অন্য এক গবেষণায় দেখা গেছে, টানা ১১ দিন না ঘুমানোর ফলে আচরণ ও কাজে মারাত্মক প্রভাব পড়াসহ মনোযোগ, শর্ট টাইম মেমোরি ক্ষতিগ্রস্ত এমনকি মস্তিষ্ক বিকৃতিও হতে পারে।
বিজ্ঞানীরা বরাবরই যথেষ্ট ঘুমের ওপরে জোর দিয়ে আসছে। এক্ষেত্রে আলোর প্রভাব কতটা জরুরী তা হয়ত কিছুটা আড়ালেই রয়ে গেছে। আলোর ব্যাপারটি গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার কারণ, এটি আমাদের চোখের বিশেষ আলোক সেন্সরের সাহায্যে আমাদের দেহঘড়ি বা বডি ক্লক নির্ধারণ করে। কারো চোখ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হলে তার বডি ক্লকও নষ্ট হয়ে যায়, ফলে ঘুমাতে সমস্যা হয়।

রাতের শিফটে যারা কাজ করেন তাদের জন্য আলোর বিষয়টি অধিকতর গুরুতর এবং মারাত্মক দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব রয়েছে। সবচেয়ে ভয়ানক হল এর ফলে ছয় বছর পর্যন্ত আয়ু কমে যেতে পারে।

তাদেরকে এমন সময় কাজ করতে হয় যখন শরীর চায় ঘুমাতে। ওই সময় শরীর কোনো ধরনের মাথা খাটাতে বা সতর্ক থাকতে চায় না অথচ সেটাই করতে হচ্ছে। যারা রাতে কাজ করেন, তারা দিনে একটু ঘুমিয়ে রাতের ঘুমের অভাব পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে, কিন্তু সেটা যথেষ্ট নয়। কারণ সাধারণত তারা দিনের বেলা অল্প সময়ের জন্য ঘুমায় যেটা ততটা গভীরও হয় না।

তাছাড়া নাইট শিফটে কাজ করা ৯৭ শতাংশ লোক কর্মক্ষেত্রে তাদের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়। যত বছর ধরেই তারা কাজ করুক না কেন। তাদের শারীরবৃত্ত পরিবর্তন করতে পারে না। অফিসে যত আলোই থাকুক না কেন তা কখনোই দিনের আলোর সমকক্ষ নয়। অফিসের কৃত্রিম আলোর চেয়ে দিনের স্বাভাবিক আলো ২৫০ গুণ প্রখর।
ঘুম নিয়ে পর্যাপ্ত আলাপ আলোচনা হলে মানুষ এ বিষয় আরো সচেতন হতে পারত। পর্যাপ্ত আলো পাওয়া, দিনের আলো ও সন্ধ্যার আলোর সংস্পর্শে আসার বিষয়ে সতর্ক হত।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়