ফাতেমা ইসলাম : বাম্পার ফলন আর চাহিদা না থাকলেও চাল আমদানির ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে কৃষকরা। কয়েক মৌসুমের মধ্যে এবার সর্বনিম্ন দামে ধান বিক্রি করতে হচ্ছে তাদের। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সরকার চাল রপ্তানির পরিকল্পনা নিলেও শেষ পর্যন্ত তা কৃষকের জন্য খুব একটা সহায়ক হবে না। চ্যানেল আই
ধানের দাম উৎপাদন খরচেরও নিচে হওয়ায় চলছে কৃষকের প্রতিবাদ বিক্ষোভ। সংক্ষুব্দ কৃষক প্রতিবাদে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন পাকা ধানে।
এই হাহাকারের বীজ বপন করা হয় ২০১৭ সালে। হাওরের ধান নষ্ট হওয়ায় সেসময় ১০ লাখ টন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তুলে দেয়া হয় ২৮ শতাংশ শুল্ক। কিন্তু গত ২ বছরে এই আমদানি ঠেকেছে ৬০ লাখ টনে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, আমদানির অপেক্ষায় আছে আরও ২ লাখ ৮০ হাজার টন। ফলে নতুন মৌসুমে ধান থেকে চাল তৈরির তোড়জোড় নেই চাল কলে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাবেক এক কর্মকর্তা বলছেন, এরই প্রভাব এখন বাজারে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব আনোয়ার ফারুক মনে করেন এর সাথে যোগ হয়েছে বাম্পার ফলন।
কয়েক বছর ধরেই ভালো আবহাওয়া আর আধুনিক চাষাবাদের কারণে বাড়ছে চাল উৎপাদন। এবার যা দাঁড়াতে পারে ৩ কোটি ৫৩ লাখ টনে।
সামনেই ঈদ। গ্রামীণ অর্থনীতিতে কৃষকের হাতে টাকা আসার একমাত্র অবলম্বন এই ধান। কম দামে ধান বিক্রির ফাঁদে কৃষক। মে মাস থেকে ২৬ টাকা কেজি দরে ধান কিনতে শুরু করলেও এর কোন প্রভাব নেই ধানের বাজারে। সম্পাদনায় : এইচএম জামাল