মোহাম্মদ আলী বোখারী, টরন্টো থেকে : উত্তর আমেরিকায় দ্রুত বিকশিত পঞ্চমবারের মতো অনুষ্ঠেয় ‘কলিশন’ সম্মেলন মহাদেশটির সপ্তম বৃহত্তর পরিসর টরন্টোর এনারকেয়ার কেন্দ্রে আনুমানিক একলাখ দর্শকের উপস্থিতিতে ২০-২৩ মে শুরু হয়েছে, যাতে পরবর্তী তিন বছরে প্রতি বছর ১৪৭ মিলিয়ন ডলার বা ৯৬৬ কোটি টাকার অর্থপ্রবাহ ঘটবে।
এতে ইউরোপীয় ওয়েব সামিটের সংস্করণটি বিশ্বে প্রযুক্তি বেচা-কেনায়, এমনকী নবতর প্রযুক্তির উদ্ভাবণকে সুপ্রসস্থ করেছে, যেখানে ১২০টি দেশের অগ্রসরমান প্রতিষ্ঠানের সুউচ্চ কর্তাব্যক্তি থেকে শুরু করে সাধারণ উৎসুক দর্শকের সমাগম চোখের পড়ার মতো। তাতে ৭৫০ জনের বেশি সাংবাদিক, বিশেষত আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ব্লুমবার্গ, সিএনএন, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, ফোর্বস ও ফিন্যান্সিয়াল টাইমস এবং বাংলাদেশের ডেইলি আওয়ার টাইম, দৈনিক আমাদের নতুন সময় ও দৈনিক আমাদের অর্থনীতির প্রতিনিধিত্ব রয়েছে।
মোট ছয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত ১২ ধাপের এই সম্মেলনে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই), অত্যাধুনিক মোটরযান, ডাটা, নিরাপত্তা, ডিজাইন, বিনিয়োগ, সফ্টওয়্যার উন্নয়ন, বিপণন, সঙ্গীত ও টেকসই বিষয়ক প্রযুক্তির প্রদর্শন ও আলোচনা অংশগ্রহণকারীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। কানাডার টরন্টো নগরী হচ্ছে উত্তর আমেরিকায় প্রযুক্তির বৃহত্তম ক্ষেত্রভূমি, যেখানে ৪ লাখ কর্মজীবি ১৮ হাজার প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এবং তার ১৫ শতাংশই টরন্টো অঞ্চলে নিয়োজিত। এতে ওই সমৃদ্ধি ২০১৬ সালের নিউইয়র্ক ও সানফ্রান্সিসকো নগরীর যৌথ পরিসংখ্যানকে অতিক্রম করেছে। তাতে আগামী দুই বছরে টরন্টো নগরী সিলিকন ভ্যালিকেও অতিক্রম করবে।
ফলে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, দেশটিতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রযুক্তিবিদের আগমন ঘটেছে; তাতে তাদের প্রয়াসে আমাদের উদ্ভাবণ ও কৌশলের পাশাপাশি সরকারের সহজলভ্য সহযোগিতা রয়েছে। এতে বিশ্বের কৌশলগত দক্ষতার পাশাপাশি অভূতপূর্ব আত্মনিয়োগ ও নারী উদ্যোগ প্রশংসনীয় এবং কলিশন সম্মেলন সেটাই নিশ্চিত করছে। উপরন্ত টরন্টোর মেয়র জন টোরি বলেছেন, টরন্টোয় কলিশন সম্মেলনের উদ্ভব পারস্পরিক ও একান্নবর্তী সক্ষমতাকে উত্তর আমেরিকায় উজ্জ্বীবিত করেছে, যা অনাগত বিশ্বের বৃহৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অর্থপূর্ণ, সে জন্য সম্মেলনটিকে সকলের পক্ষ থেকে স্বাগত।