নুর নাহার : বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি এবং বামপন্থী দলগুলোসহ প্রধান রাজনৈতিক শক্তিগুলো বাংলাদেশ চায়না সিল্ক রোড ফোরাম গঠনের ব্যাপারে ঐক্যমতে পৌঁছেছে। চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভকে (বিআরআই) এগিয়ে নেয়ার জন্য এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে তারা। -সাউথ এশিয়ান মনিটর
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এই ফোরামের যাত্রা শুরু হয়। ফোরামের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলিপ বড়ুয়া বলেন, এই ফোরাম চীনের সাথে এবং অন্যান্য সদস্য দেশের সাথে সহযোগিতা ত্বরান্বিত করতে সমন্বয়কারী ফোরাম হিসেবে কাজ করবে।
ফোরামের ভাইস চেয়ারম্যানদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপির স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য আব্দুল মইন খান, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু, জাসদের হাসানুল হক ইনু এবং শরীফ নুরুল আম্বিয়া এবং কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ।
কমিউনিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশ এবং ওয়ার্কার্স পার্টি এই পদক্ষেপের সাথে একাত্মতা জানিয়েছে এবং ফোরামে তাদেরকেও দুটো ভাইস চেয়ারম্যানের পদ দেয়া হয়েছে। ৪৯ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাহী বোর্ডের সদস্য সচিব হিসেবে কাজ করবেন ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সাংবাদিক শাহিদুজ্জামান খান। বোর্ডে সদস্যদের মধ্যে রয়েছে ড. ওয়াহিদুল ইসলাম, বিমল বিশ্বাস, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন এবং জাসদের ড. মোস্তাক হোসেন।
চেয়ারম্যান, সাতজন ভাইস-চেয়ারম্যান, একজন সাধারণ সম্পাদক, দুজন যুগ্ম সম্পাদক, একজন কোষাধ্যক্ষ, প্রচার সম্পাদক, অফিস সম্পাদক ও ২০ সদস্যের নাম ঘোষণার সময় ইনু জানান, পূর্ণাঙ্গ কমিটি শিগগিরই গঠিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভি এবং ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ঝাং জাউ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তারা এই পদক্ষেপকে সময়োপযোগী হিসেবে আখ্যা দেন।
নতুন ফোরাম সম্পর্কে গওহর রিজভি বলেন, এখনই সময় । ভারত ও চীনের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোন সঙ্ঘাত দেখছে না সরকার। তিনি বলেন, বাংলাদেশে আমরা দুই দেশের মধ্যে কোনো সঙ্ঘাত দেখি না। উভয়েরই নিজস্ব কারণ ও উদ্দেশ্য রয়েছে। উভয়েই তারা আমাদের লক্ষ্য ও সমৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা করছে।
চীনা রাষ্ট্রদূত ঝাং জাউ বলেন, বাংলাদেশ-চীন সিল্ক রোড ফোরাম একটা সঠিক সময়ে গঠিত হলো “যখন এখান থেকে অনেক কিছু অর্জনের রয়েছে।