শিরোনাম
◈ ‘আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের’ বিরুদ্ধে মামলা না থাকলেও গ্রেপ্তারের নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ◈ হাদির অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন, শুটার পালানোয় নেপথ্যের কুশীলবদের গ্রেপ্তারে গুরুত্ব দিচ্ছে পুলিশ ◈ আগামী বছরের অমর একুশে বইমেলা শুরু ২০ ফেব্রুয়ারি ◈ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট ◈ হাসনাত কি সরকারের অংশ? ভারতের প্রতিক্রিয়ায় পররাষ্ট্র উপদেষ্টার প্রশ্ন (ভিডিও) ◈ মুস্তাফিজকে আইপিএলের মাঝপথে ‌দে‌শে ফিরতে হবে, খেল‌বেন নিউ‌জিল‌্যান্ড সি‌রিজ ◈ বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব করে যে বার্তা দিল ভারত ◈ ‘মার্চ টু ইন্ডিয়ান হাইকমিশন’ কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা ◈ পুরান ঢাকায় ভয়াবহ আগুন ◈ বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব

প্রকাশিত : ১৬ মে, ২০১৯, ০১:৫৭ রাত
আপডেট : ১৬ মে, ২০১৯, ০১:৫৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আসামে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, রোজা ভেঙ্গে রক্ত দিয়ে প্রাণ বাঁচালেন হিন্দু ধর্মাবলম্বী রোগীর

মোহাম্মদ মাসুদ : ভারতে আসামের হাইলাকান্দি জেলায় কদিন আগেই সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ হয়েছে। যার জেরে এখনও দিনের কিছুটা সময় কারফিউ চলছে। কিন্তু ওই রাজ্যেরই অন্য কয়েকটি জায়গায় দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতির এক অন্য ছবি উঠে এসেছে। অন্তত দুজন ইসলাম ধর্মাবলম্বী স্বেচ্ছায় রোজা ভেঙ্গে রক্ত দিয়ে প্রাণ বাঁচিয়েছেন দুই হিন্দু ধর্মাবলম্বী রোগীর। বিবিসি বাংলা

আসামের বিশ্বনাথ চরিয়ালির বাসিন্দা অনিল বোরা ৮২ বছর বয়সী মা রেবতী বোরাকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন গত সপ্তাহে। কিছু পরীক্ষার পরে জানা যায় তাকে জরুরি ভিত্তিতে রক্ত দিতে হবে। বোরার রক্তের গ্রুপ বি নেগেটিভ। সেই রক্ত খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।

ফেসবুকের মাধ্যমে একটি স্বেচ্ছায় রক্তদান সংগঠনের সঙ্গে অনিল বোরার যোগাযোগ হয় শোনিতপুরের বাসিন্দা মুন্না আনসারির সঙ্গে। গত রোববার আনসারি রোজা ভেঙ্গে রক্ত দিয়েছেন রেবতী বোরাকে।

তিনি বলেন, আমাকে যখন প্রথম রক্ত দিতে হবে বলা হল, আমি সঙ্গে সঙ্গেই রাজী হয়ে গিয়েছিলাম। যে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি আমাকে ফোন করেছিল, আমি নিজেও তার সদস্য। ওরা আমাকে বলে ভেবে দেখ, রোজা ভাঙ্গতে হবে কিন্তু। আমি বলেছিলাম রোজা ভাঙ্গতে হলে হবে। তবে যদি রাতে রক্ত দিলে কাজ হয়, তাহলে রোজার শেষেই হাসপাতালে যাব, আর না হলে রোজা ভেঙ্গে দেব। বলছিলেন শোনিতপুরের বাসিন্দা, ছোট এক দোকানদার আনসারি।

প্রথমে আনসারিকে জানানো হয় যে রাতে রক্ত দিলেও চলবে। কিন্তু পরে জানানো হয় যে তক্ষুণি রক্ত দিতে হবে। তখন রোজা ভেঙ্গেই হাসপাতালে গিয়ে রক্ত দিয়ে আসেন আনসারি।

অনিল বোরা বলছেন, রোজা ভেঙ্গে তিনি যেভাবে আমার মায়ের জীবন বাঁচিয়েছেন, এ জন্য তার কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। সম্পাদনায়: এইচ এম জামাল উদ্দিন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়